রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প বাতিল, ৪ প্রকল্প অনুমোদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

অর্ন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় ১২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে অর্থায়ন হবে ৯৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আর বিদেশি ঋণ ও অনুদান ১০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি সংশোধিত এবং দুটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিকেল ৩টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রীতি অনুযায়ী সবসময় একনেক সভা পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হলেও এবার তা পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, বিদেশি অর্থায়ন পাওয়া যাবে এমন প্রকল্প গ্রহণে গুরুত্ব দেবে সরকার। বহু বছর আগের অনেক প্রকল্প পড়ে আছে। এগুলোতে বিদেশি সহযোগীদের নজরদারি বেশি থাকে। অনিয়ম করা যায় না। তাই ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ কম থাকে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে মিলে এমন কিছু নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, নিজেদের জন্য গ্যাসকূপ খনন না করে কেন বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বোধগম্য না। যেসব কূপ উন্নয়ন বা খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাও দেওয়া হয়েছে বিদেশি কোম্পানিকে। এসব ক্ষেত্রে কতটা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। নিজেদের গ্যাসের সম্ভাবনা থাকতে এলএনজি আমদানি ভ্রান্ত নীতি। এতদিন যে অর্থনীতি চালিয়ে এসেছি এলডিসি উত্তোরণের পর দ্বিপাক্ষীক চুক্তি করতে হবে। শিক্ষা প্রযুক্তিতে আরো প্রকল্প নিতে হবে। মানবসম্পদে অনেক পিছিয়ে আছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, বড় প্রকল্পগুলোতে সময় কেন বাড়ানো হলো এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হলো সেগুলো যাচাই করা হবে। বর্তমান সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমাতে চায়।

একনেকে অনুমোদিত চারটি প্রকল্প হলো– শিল্প ও শক্তি বিভাগের বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প (১ম সংশোধিত), ২টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং ২টি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দরপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন প্রকল্প, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত) তথ্য আপা নামক প্রকল্প এবং কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প।

Nagad