উপদেষ্টা নাহিদ-আসিফের ছাত্রশক্তির সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের ছাত্র সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার এক বছর না পেরোতেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা এলো।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানানো হয়। গত বছরের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’।

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ছিলেন এ সংগঠনের সদস্য সচিব। অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ছিলেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।

‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র ৩১ সদস্যের কমিটির অনেকেই বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক পদে আছেন।

সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তিনি জানান, এই সংগঠনটির কার্যক্রম আরও আগেই স্থগিত করা হয়েছে।

এমন এক সময় ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।

Nagad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট দফা বা ৯ দফার অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, কিন্তু সেই কথাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। সমন্বয়কদের অনেকেই এখন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আমরা এটি মেনে নেব না।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে ক্যাম্পাস থেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার কথা জানান ওই শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন একটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি স্বনামে সক্রিয় ছিল না এবং আমাদের ফেসবুক পেজেও আমরা কোনো ধরনের প্রেসরিলিজ দেইনি। আমাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সরকারের উপদেষ্টা হন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে— তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কমিটি ভেঙে দেয়া হবে এবং কার্যক্রমও স্থগিত করা হবে।

তিনি বলেন, ‘মূলত আগামীতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে, তার ওপরেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম নির্ভর করছে এবং তখন যারা দায়িত্ব পালন করতে চাইবেন, তারাই এই সিদ্ধান্ত নেবে।’

‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র ৩১ সদস্যের কমিটির অনেকেই বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক পদে আছেন। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।