দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে: প্রতিমন্ত্রী পলক

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৪

দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকিং সেক্টর এবং পোশাক শিল্পে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন- ব্যাংক, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা করছি। গত ১০ দিনে ৫০ হাজারেরও বেশিবার হামলা চালিয়ে ৮টি ওয়েবসাইটের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও হামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি কো-অর্ডিনেট কমিটি গঠন করব। যারা বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তায় করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করার পরামর্শ দিয়ে পলক বলেন, লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ডিএনএস সিস্টেম যেটাকে আমরা বলি, সেটা যখন ডাইভার্ট করে যখন কেউ কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে গেছেন, তখন তাকে সেখান থেকে অন্য একটা ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে নেওয়ার পর ব্যবহারকারীকে শুধু ফ্রন্ট পেজটা দেখানো হয়েছে যে, এই ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে।’

গত ২২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছিল- এমন তথ্য সঠিক নয় দাবি করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে দেখেছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়নি। তাদের নিয়মিত লেনদেন ও সব কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলেছে। যে সমস্যাটুকু হয়েছিল, সেটা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, সমাধানও করেছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি, এটা অতি গোপনীয়। এজন্য এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না।’

Nagad

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাইবার হামলা বেড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সাইবার হামলা প্রতিনিয়তই হয়। হামলাকারীরা প্রতিনিয়তই জাতীয় নিরাপত্তার আওতায় থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করে থাকে। তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়, সেখান থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে হ্যাঁ, সম্প্রতি আন্দোলনের মধ্যে সাইবার হামলা কিছুটা বেড়েছে, এটাও সত্য।’

এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান, এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, এনএসআই পরিচালক কর্নেল শফিক, ডিজিএফআই ডিজি ব্রিগেডিয়ার তামজিদ, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হকসহ বৈঠকে কেপিআই এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।