‘সারাদেশে পানিবন্দি ২০ লাখ মানুষ, সুপেয় পানি ও শুকনো খাবারের অভাব’

জেষ্ঠ প্রতিবাদেক:জেষ্ঠ প্রতিবাদেক:
প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৪

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ১৫ জেলার প্রায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। তিনি বলেন – উজানের ঢলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের কষ্ট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত সব জেলায় এখন পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগ ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পুরো ১৫ জেলার মানুষই পানিবন্দি নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যা কবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

বন্যা আক্রান্ত এলাকাগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন-আগস্ট কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গেও সরাসরি কথা বলবো।

এদিকে যমুনার পানিতে ডুবছে সিরাজগঞ্জ-বগুড়ার নতুন নতুন এলাকা। বাড়িঘরে পানি, জ্বলছে না চুলা। খেয়ে না খেয়ে কাটছে অনেকের দিন। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বেড়ে প্লাবিত অনেক এলাকা।

কুড়িগ্রামে চিলমারী-নাগেশ্বরী, সদরসহ ৬ উপজেলার ৪১টি ইউনিয়ন এখন বন্যাকবলিত। পানিবন্দি দেড় লাখের বেশি মানুষ। বসতঘরের চাল ছুঁইছুঁই পানি।

Nagad

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে গাইবান্ধায়। প্লাবিত নতুন নতুন এলাকা। সেখানে পানিবন্দি প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। রংপুরে, তিস্তার জলে ১২টি ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন রয়েছে।

সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারার পানি কিছুটা কমলে, এখনও বিপৎসীমার ওপরের আছে। এতে অপরিবর্তিত বন্যা পরিস্থিতি। প্রশাসনের হিসেবে, জেলায় ৬ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। ২০৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ৯ হাজার মানুষ উঠেছেন। রয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।