প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে ভারতের আপত্তি ছিল না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে ভারতের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফ‌রে বাংলা‌দে‌শের উন্নয়ন ইস্যু অগ্রাধিকার পাবে।

চীন সফর নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি রয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের কখনো কোনো আপত্তি ছিল না। আমরা যখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, তখন চীনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আমি তো চীন যাচ্ছি, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব। এভাবেই বিষয়টি এসেছে।’

বুধবার (৩জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অ্যাকাডেমির জার্নাল, স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন শেষে সাংবা‌দিক‌দের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে তি‌নি এ তথ্য জানান।

অন্যদিকে, সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অফশোর একাউন্টে অর্থ রাখলে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ হারে সুদ পাবে। এই বিষয়ে সৌদির সঙ্গে আলাপ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতুসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক আইকনিক স্থাপনা নির্মাণে চীনের অর্থ ও লোকবল লেগেছে। তাই আগামী সফর নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন ধরে চীন আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যে ভূমিকা রেখে আসছে, সেই উন্নয়ন অভিযাত্রাকে বেগবান করতে চীন সফর গুরুত্বপূর্ণ। চীন সফরে নতুন কোনো চুক্তি হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেটি এখনো ফাইনাল হয়নি, এখনো বলার সময় আসেনি।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী ৮ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ে বিজনেস ফোরামে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন। পরদিন ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে করবেন। বৈঠকে আর্থিক সহায়তা এবং নতুন প্রকল্পে অর্থায়নের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের সময় দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি দলিল সইয়ের কথা রয়েছে। এছাড়া, সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুর বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন।

Nagad

অন্যদিকে, বাংলাদেশ-সৌদি আরব ইস্যূতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের সঙ্গে আর্থিক খাতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের সরকার সবার জন্যই একটি নতুন জানালা (অফশোর ব্যাংকিং) খুলেছে। অনাবাসী বাংলাদেশি, প্রবাসী বাংলাদেশি, পৃথিবীর যেকোনও বিদেশি কোম্পানি এবং বিদেশি অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করা হয়েছে। সৌদি আরবে বর্তমানে ৩১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। করোনার পর গত তিন বছরে সৌদি আরবে আবার উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। গত তিন বছরে ১৭ লাখ কর্মী বিদেশে রফতানি হয়েছে। আমরা আরও কর্মী নিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছি।