‘ভারতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা অপপ্রচারে লিপ্ত’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২৪

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তিনি বলেন-কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু মূলধারার গণমাধ্যমে ভুল তথ্য চলে এসেছে। আমরা দেখেছি, বিএনপি এবং জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যুক্ত হয়েছেন সেই অপপ্রচারে। গতকাল তিনি একটি প্রেস কনফারেন্সে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো একেবারেই অসত্য এবং ডাহা মিথ্যা কথা। সমঝোতা স্মারকের সবগুলো ধারা উনি হয়তো পড়েননি বা যারা অপপ্রচার করেছে তারা পড়েননি। সব ধারা না পড়ে খণ্ডিতভাবে এগুলো তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কথাগুলো বলছে বাংলাদেশের বুকচীরে ভারতীয় ট্রেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাবে। কিন্তু এই সমঝোতা স্মারকে এটিও বলা আছে, ভারতীয় প্রান্ত দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল এবং ভুটানে যাবে। নেপাল এবং ভুটান থেকে বাংলাদেশের অথবা তাদের ট্রেন ভারতের মধ্যে থেকে বাংলাদেশে এসে মোংলা পোর্ট এবং চিটাগাং পোর্ট ব্যবহার করবে। তারা কিন্তু এখন কলকাতা পোর্ট ব্যবহার করে। অর্থাৎ আমাদের পোর্টগুলো আমরা লাভবান করবো। তাহলে কী আপনারা বলবেন, ভারতের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হয়ে গেলো? তারা তাদের কলকাতা পোর্টকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশের পোর্টকে লাভজনক করে দিচ্ছে? বিষয়টি আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়। এ বিষয়গুলো না বুঝে অসত্য কথাগুলো বলা হচ্ছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে একটা বিশাল অর্জন আছে। আপনারা দেখবেন নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের যে গ্রিডলাইন, সেই গ্রিডের ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট আমদানি করবো। যখন আমাদের শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে, অতিরিক্ত উৎপাদন করবো আমরা, তখন রপ্তানিও করতে পারবো। এখন কি বলবেন ভারতের বুকচীরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনবে এবং বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে? এখানে তো পুরোটাই আমরা লাভবান হবো। সেজন্য এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো একেবারে উল্লেখ না করে এটি যে দুই দেশের জন্য লাভজনক সেটি উল্লেখ না করে, খণ্ডিতভাবে তারা অপপ্রচারের স্বার্থে মিথ্যাচার করছে। তারা গোলামি চুক্তি ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলছে।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল এবং অনেকে বলছেন, এর ফলে নাকি আমাদের দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কীভাবে? ভারতের ট্রেন যে যাবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে, সেখানে নাকি আর্মি এবং মিলিটারি সামরিক অস্ত্র নিয়ে যেতে পারে! তাতে জিওপলিটিক্যাল ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে! অথচ এই সমঝোতা স্মারকের তিন নম্বরে বলা আছে পরিষ্কারভাবে… গুডস উইদাউট রেড ট্রাফিক। সেখানে সংজ্ঞা দেওয়া আছে। ডেঞ্জারাস এবং অফেন্সিভ গুডস, ইনক্লুডিং আর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস। অর্থাৎ এগুলো নেওয়া যাবে না।

Nagad

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে রিজিওনাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে। গোটা বিশ্ব কানেকটিভিটির মধ্যে আসছে। আমরা কিন্তু এটা এককভাবে ভারতকে দিইনি। সেটিকে তারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। এটা কীভাবে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হলো? মূলত বিএনপির চিন্তা নতজানু।