‘আক্রান্ত হলে যেন স্বধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি, প্রস্তুতি রাখতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোনোভাবে দেশকে রক্ষা করা, বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে করতে যাবো না, কিন্তু আক্রান্ত হলে যেন নিজেদের স্বধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি, সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সেভাবেই লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকারে আসার পর প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে আমরা গড়ে তুলছি সেভাবেই। যাতে সশস্ত্র বাহিনী উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, সেভাবে কাজ করছি।

আজ বুধবার (২৬জুন) স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন-আমাদের দেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ করুণা করে না, সবাই মর্যাদা দেয়। আমরা দেশে-বিদেশে যে মর্যাদা পেয়েছি, তা ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার জীবন যে কোনো সময়ই চলে যেতে পারে। কিন্তু আমি পিছিয়ে যাইনি। সকল বাধা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করি। অথচ পূর্ববর্তীরা সেই যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। আমরা দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি, বরং একের পর এক ক্যু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ থেকে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলেই দৃশ্যমান ও টিকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যগোপযুগী হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য যাতে জনবিচ্ছিন্ন না হতে হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে এসএসএফ-কে পরামর্শও দেন তিনি।

Nagad

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন জাতির পিতা। প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছেন তিনি।