শরীফার গল্প বাদ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি, যুক্ত হবে হিজড়াদের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৪

আলোচনা-সমালোচনার মুখে অবশেষে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে গল্পটি পাঠ্য বই থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া আগামী বছরের জন্য যে বই ছাপানো হবে, সেখানে এ গল্পের জায়গায় হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন একটি গল্প রাখা হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চিঠি পাওয়ার পর এনসিটিবি বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে এই গল্পে পরিবর্তন এনে হিজড়া জনগোষ্ঠীর তথ্য শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ে রাখা হবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, চিঠিতে গল্পটি বাদ দিতে বলা হয়নি। সংশোধন, পরিমার্জন বা এর জায়গায় নতুন গল্প রাখতে বলা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীরা হাতে পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানা বিতর্ক। সেই বিতর্কে উত্তাপ বাড়ায় ‘শরীফার গল্প’। ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ বিষয়ে ধারণা দিতে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে জায়গা পেয়েছিল ‘শরীফার গল্প’। বইয়ের ৩৯ ও ৪০ নম্বর পৃষ্ঠায় অন্তর্ভুক্ত ওই পাঠে শিক্ষার্থীরা পড়বে নারী-পুরুষের বাইরে ‘তৃতীয় লিঙ্গের’ মানুষ বা ‘হিজড়াদের’ জীবনের কথা।

বিতর্ক আলোচনার মধ্যে ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ মাস পর গত মে মাসে এই কমিটি গল্পটি বাদ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়লো শরীফার গল্প।

Nagad