রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাসসবাসস
প্রকাশিত: ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানে চীনের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, সমাধানের অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে খুবই চিন্তিত। এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার ছয় বছর পার হয়ে গেছে।

সোমবার (২৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ সহায়তা কামনা করেন ।

সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, এটা (রোহিঙ্গা সংকট) আমাদের জন্য খুবই হতাশা ও উদ্বেগজনক।

প্রধানমন্ত্রী চীনের মন্ত্রীকে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের জন্য আমার (প্রধানমন্ত্রীর) পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ বার্তা এটি । তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চীনের মন্ত্রীকে নিজের পক্ষ থেকে এবং বাড়তি আগ্রহ নিয়ে কিছু করারও অনুরোধ করেন।

এসময় লিউ জিয়ানচাও বলেন,রোহিঙ্গা ইস্যুটি জটিল। তবে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে কীভাবে পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় তা খুঁজে বের করতে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে।

চীনা মন্ত্রী বলেন, চীন বুঝতে পেরেছে যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মানবিক উপায়ে সহায়তা করছে বলে তার দেশ অত্যন্ত প্রশংসা করে। মিয়ানমার সরকারেরও (এই ইস্যুটি সম্পর্কে) কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মতো অবস্থান নেই। সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে (সেখানে) গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি একটি জটিল ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

Nagad

আগামী মাসে শেখ হাসিনার চীন সফর প্রসঙ্গে লিউ জিয়ানচাও বলেন, এতে দু’দেশের মধ্যে অসাধারণ বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে। এ সফর আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে অভিভূত হয়েছেন উল্লেখ করে চীনের মন্ত্রী বলেন, তার দেশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।

পার্টি টু পার্টি (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও আওয়ামী লীগ) সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ। চীনা মন্ত্রী অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও পার্টি টু পার্টি সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।