রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ ঈদ যতটা না আনন্দের, তার চেয়ে বেশি ত্যাগের। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা পালিত হয়। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় ঠিক আগের দিন চাঁদ দেখার বিষয় নেই। ১০ দিন আগেই ঠিক হয়ে যায় ঈদের দিনক্ষণ।
গত ৭ জুন বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় পরের দিন হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে। তাই আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সে অনুসারে পশু কেনা, নাড়ির টানে গ্রামে যাওয়াসহ ঈদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে থাকেন সবাই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে মানুষ, যার যার সাধ্যমতো কিনছে পশু।


তবে সৌদি আরবে জিলহজ মাস শুরু হয়েছে এক দিন আগে ৬ জুন থেকে। এ কারণে সৌদিতে পবিত্র হজ হয়েছে ১৫ জুন। আজ সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদুল আজহা আমাদের দেশের মানুষের কাছে ‘কুরবানির ঈদ’ নামেই পরিচিত। এর ইতিহাস সুপ্রাচীন। সারা বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ কুরবানি দিয়ে থাকেন। সকালে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
নামাজের পর খুতবায় ইমাম সাহেব কুরবানির মর্মবাণী তুলে ধরবেন। পশু কুরবানির মাধ্যমে মনের পশুকে দমনের আহ্বান থাকে খুতবায়। দোয়ার মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের প্রথম পর্ব শেষ হবে। এরপর পশু কুরবানির মাধ্যমে শুরু হবে ঈদের দ্বিতীয় পর্বের উদযাপন। গ্রাম থেকে শহর-সব জায়গায় বিকাল পর্যন্ত আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে কুরবানির পশুর মাংস বিতরণের আনন্দে মেতে উঠবেন অনেকে।
এদিকে নাড়ির টানে শহরবাসী পথের ভোগান্তি জয় করে ফিরে গেছেন শিকড়ের কাছে। ঈদগাহও প্রস্তুত। সকালের শুরুতেই মুসল্লিরা ঈদগাহে যাবেন ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ে। ফিরে এসে আল্লাহর পথে পশু কোরবানি করবেন। সবাই এখন আগামীকাল সকালের অপেক্ষায়।
রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।
অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, ঈদের দিনে সারাদেশ সর্বনিম্ন ২৫ থেকে সর্ব্বোচ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৫। এতে দাবদাহের মতো পরিস্থিতি না হলেও থাকবে গরমের তীব্রতা।