তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির শপথ আজ, মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন?
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেবেন।অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি সরকারপ্রধান ইতোমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন।
একই দিন শপথ নেবেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতকর্তা। রোববার (৯জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।


দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে সাত দফায় ভোটগ্রহণের পর লোকসভা নির্বাচনে ফের জয়ী হয় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তাই তারাই ফের গড়ছে সরকার।
এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কার্যত সাজ সাজ রব দিল্লিজুড়ে। রাজধানীতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাত দেশের রাষ্ট্র নেতারা।
অন্যরা হলেন—শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, সিসিলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ড এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিং তোবগে। এ ছাড়াও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৮ হাজারের বেশি বিশিষ্টজনকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদি রোববার শপথ নিলেও, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার শপথ কয়েকদিন পর হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রী পদে আজই শপথ গ্রহণ হবে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আজ ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন। এর মধ্যে বিজেপির মন্ত্রীদের সংখ্যাই বেশি হবে। জোটের অন্য দলগুলোর কয়েকজন সংসদ সদস্যও শপথ নিতে পারেন।
নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। যে মন্ত্রীরা আজ শপথ নেবেন, তাদের আজ সকালেই ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে।
বেশ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, ভারতের এবারের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৭৮ থেকে ৮১ জনের মধ্যে হতে পারে। এছাড়া এবারের মন্ত্রিসভায় খুব কম সংখ্যক মন্ত্রীকেই একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
শরিক দলগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দাবি জানালেও, গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রণালয়- স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজেপি নিজের হাতেই রাখছে। আজই এই পদের মন্ত্রীরা শপথ নিতে পারেন। এর পাশাপাশি রেল, শিক্ষা, সড়ক ও পরিবহন, আইন, তথ্য প্রযুক্তি, স্টিল, কয়লা ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও বিজেপি নিজের হাতে রাখবে। এই মন্ত্রীরাও আজ শপথ নিতে পারেন।
এদিকে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতকর্তা। শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থল রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঁচ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও এনএসজি কমান্ডো, ড্রোন এবং স্নাইপার নিয়ে বহুস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলার সময় যেকোনও অপরধমূলক বা সন্ত্রাসী হুমকি রোধ করতে দিল্লিতে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ সোমবার পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।