গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত, যা বললেন আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৯, ২০২৪

রাজধানীর গুলশানে পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আহমেদের গুলিতে সহকর্মী মনিরুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা জানতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শনিবার (৮জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, ডিউটিরত কাওসার আলী নামে এক কনস্টেবল কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে অন্য পুলিশ সদস্যকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এতে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ঘটনাস্থলে নিহত ও অন্য এক চালক আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরআইজিপি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান-রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ঘটনার সময় তিনি পথচারী হিসেবে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের গায়ে তিন রাউন্ড গুলি লেগেছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Nagad

এর আগে রাত পৌনে ১২টার দিকে বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।

দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা। এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল। ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কী কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি। ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্র রেখে ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। তখন তাকে আটক করা হয়।

কূটনীতিক এলাকায় একজন কনস্টেবলকে দিনে ১৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। এই ডিউটি করার কারণে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন কি-না, বা কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি-না, প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, সবগুলো বিষয়ে আমরা তদন্ত করব।