নেপালে আটক সিয়াম এখন কলকাতা সিআইডির হেফাজতে: কমিশনার

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সিয়াম হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি)। এছাড়া এই সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশে তিনজন এবং ভারতে একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকায় এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নেপালে গ্রেপ্তার সিয়ামকে কলকাতা সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।

আজ শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

হাবিবুর রহমান জানান, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই তদন্ত চলছে। তদন্তকারীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোন এক দেশে আনার হত্যার বিচার হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেখানে ঘটনা সংগঠিত হয়, সেখানেই তদন্ত হয়, এটি একটি ‘সেফট রুল’। কিন্তু, আমাদের দেশের আইনেও আছে বিদেশে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে সেক্ষেত্রে সেই অপরাধীকে বাংলাদেশে এনে আমরা বিচার করতে পারব।

হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি কলকাতা সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে এবং তাদের কাছে দুই আসামি রয়েছে। একজনকে তারা গ্রেপ্তার করেছে আরেকজনকে নেপাল থেকে নিয়ে এসেছে। আমাদের কাছেও তিনজন আছে। ভারতও তদন্ত করছে, আমরাও তদন্ত করছি। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কোনো একটি জায়গায় এই হত্যার বিচার হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম।

Nagad

বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাহাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানের ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশের আদালত। আর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন ভারতের বারাসাতের আদালত।

অন্যদিকে, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকা সিয়ামের বিরুদ্ধে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আমানের সহযোগী সাইফুল মেম্বারকেও রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এছাড়া আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ৬ জুন আটক করেছে ডিবি।