নতুন সরকার গঠনে জোট সঙ্গীদের সমর্থন পেলেন নরেন্দ্র মোদি
নতুন সরকার গঠন করতে নিজেদের রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) শরিকের সমর্থন পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। বুধবার (৫জুন) নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে শরিক দলগুলোর।
এর মাধ্যমে আগামী শনিবার টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদী।


বৈঠক শেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,নরেন্দ্র মোদিকেই সর্বসম্মতিক্রমে জোটের নেতা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তিনিই হচ্ছেন।
বস্তুত, এবারের নির্বাচনে জয়ের সুবাদে টানা তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এনডিএর সব দলের পক্ষ থেকে তাকে সমর্থন নিশ্চিত হয়েছে বলে বুধবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে বিজেপি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা ২১ নেতার মধ্যে রয়েছে তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) নেতা এন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)’র এক প্রতিনিধির নাম। নতুন সরকার গঠনের জন্য লোকসভায় প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন নিশ্চিত করতে এই দুটি দলের সমর্থন বিজেপি’র জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দল দুটি এবার ২৮টি আসনে জিতেছে, যা জোট সরকার গঠনের জন্য বিজেপির কাছে আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশে নাইডুর টিডিপি জিতেছে ১৬টি আসনে এবং বিহারে নীতিশ কুমারের জেডিইউ জয় পেয়েছে ১২টি আসনে।
এ বিষয়ে প্রবীণ সাংবাদিক সঞ্জীব শ্রীবাস্তব বিবিসিকে বলছেন, ‘নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর ক্রাচ ছাড়া এই সরকার চলতে পারবে না এবং নীতীশ কুমার হাওয়ার দিক বদলের মতো জোট বদলে অভ্যস্ত।’ তার কথায়, ‘নরেন্দ্র মোদির এই মডেলে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। গত তিন দশকে তিনি তিনবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে একরকম একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে কাজ করেছেন।” ‘এখন হঠাৎ করে সমন্বয় করে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনীতি করা তার কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এই নতুন কাজের ধরন তিনি কতটা গ্রহণ করতে পারবেন, তার ওপরেই এই সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করছে।’ সূত্র : বিবিসি