এআইইউবি’র নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের যোগদান

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৪

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম যোগদান করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে ৪ বছরের জন্য এআইইউবি- এর উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

সম্প্রতি এক আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাকে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

তিনি ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এর ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন। অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম জুন ২০১৬ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ভাইস-চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগস্ট ২০১৩ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক ইসলাম ১৯৭৫ সালে বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যাপক ইসলাম ১৯৭৫ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রভাষক হিসাবে বুয়েটে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হন।

অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) এর লাইফ ফেলো, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির লাইফ ফেলো, ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিায়রিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইটি), ইউকে এর ফেলো, ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিল, ইউকে এর চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার, আইইইই এসআরএমআইইইই (ইউএসএ) এর সিনিয়র সদস্য। অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ১৯৯১-৯৩ সালে, বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ১৯৯৫-৯৭ সালে তিনি ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ছিলেন। তাঁর ৪৮ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তিনি একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং গবেষণা ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে আন্তজার্তিক অঙ্গণে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন।

Nagad