‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অস্থিরতাকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, ব্যবস্থা নেয়া হবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৪

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন-মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী যেতে না পারার বিষয়টি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার (৫ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে কর্মী যান, এটা স্বাভাবিক। সরকার আইন, সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার পরও কেউ কেউ দালাল ধরে যান। কিন্তু এবার মালয়েশিয়া পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন এত মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ল, সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন- মালয়েশিয়া কর্মী প্রেরণের বিষয়টি যদি নিয়ম মেনে করা হতো তাহলে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতো না। তারপরও এবার যে সমস্যা হয়েছে সে বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এর জন্য যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকে তাহলে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। ১৯৯৮-২০০১ সময়ে ১০ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত ও অধিকাংশই চালু করা হয় এবং জনগণ সেবা পেতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নদীভাঙন ও অন্যান্য কারণে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে যায় এবং ১০ হাজার ৬২৪টি বিদ্যমান থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ‘রেভিটালাইজেশন অব কমিউনিটিজ হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি)’ প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। সারাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মোট ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে এবং ৯৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

Nagad