উপজেলা নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোট পড়েছে ৩৩.৩৪ শতাংশ।
সিইসি বলেন, ৬০ উপজেলায় ভোট হয়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিছু ইন্সিডেন্ট হয়েছে। এ জন্য ২৮ জনকে গ্রেপ্তার ও ৯ জনকে বিভিন্ন অপরাধে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভৈরব উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে। বরিশালে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। তবে ইভিএমে ভালো কাজ হয়েছে।


বুধবার (৫ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিইসি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আজ মোট ২৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৯ জনকে বিভিন্ন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করেছেন। ২১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। ভৈরব উপজেলায় একটা ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে, সেটা খুলেও ফেলেছিল দুর্বৃত্তরা। ফলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সহিংসতার কথা যদি বলি খুব মাইনর আহত হয়েছেন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে। বরিশালে পাঁচজন আহত হয়েছে ওই ১১ জনের বাইরে। ওখানে একটু কোপাকুপি হয়েছে। খু্ব গুরুতর নয়। তবে মাইনরের চেয়ে একটু বেশি। নেত্রকোণার কেন্দুয়াতে একজন প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালট পেপারে সিল মেরেছিলেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টোটাল জাল ভোটের ইনসিডেন্ট ঘটেছে পাঁচটি। ইভিএমে যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানে কোনো ইনসিডেন্ট হয়নি।
সিইসি বলেন, ২২টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোট হবে। ভোট শেষে পর্যালোচনা করব কেমন হলো। এসিড দিয়ে, লেবু দিয়ে অনেকে অমোচনীয় কালী আঙ্গুল থেকে তোলার চেষ্টা করেন। এমনি ওঠে না। নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। কোনো রকম মেজর সহিংসতা হয়নি। রাজনৈতিক বিষয়গুলো আমরা বিচার বিশ্লেষণ করতে পারব না।
হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, এটা নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) বিচার বিশ্লেষণ করব না।