ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ভয়াবহ হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গ্যালিলি ফরমেশেনের সদর দফতরে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়েছেন কি না তা জানা যায়নি। তবে হামলার পর উত্তর ইসরায়েলের অনেক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
গত অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই প্রথমবারের মতো ইরান-সমর্থিত গ্রুপটি এক স্কোয়াড্রোন ড্রোন হামলার কথা ঘোষণা করল।
![](https://www.saradin.news/wp-content/uploads/2023/10/KSRM_500-X-114.png)
![](https://www.saradin.news/wp-content/uploads/2023/10/KSRM_500-X-114.png)
জেরুজালেম পোস্ট ও টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য দিয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দাবানলের আগুনে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরে গেছে। অবশ্য ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে লেবানন সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি শহরের বাসিন্দাদের আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
সোমবার ইসরায়েলের পার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগুন ইতিমধ্যে কয়েকশ একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জাতীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৯টি ব্রিগেড কিরিয়াত শমোনা শহরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গভীর রাত পর্যন্ত আগুন নেভাতে কাজ করেছে।
এদিকে এ ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। একই সঙ্গে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগুনের ধোঁয়ায় ছয়জন আইডিএফ রিজার্ভ সেনা সামান্য আহত হয়েছে। ছয়জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। আট মাস পার হয়ে গেলেও এই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা করে আসছে।