প্রপার্টি বেচাকেনার তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘প্রপার্টি গাইড বাংলাদেশ’ উন্মোচন

বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস বিক্রয় প্রপার্টি কেনা-বেচা এবং ভাড়ার তথ্য সংক্রান্ত ওয়েবসাইট প্রপার্টি গাইড বাংলাদেশ (propertyguide.com.bd) চালু করেছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিনামূল্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রপার্টি সংক্রান্ত রিভিউ, প্রাইস ইনডেক্স, এলাকা ভিত্তিক চাহিদা, গুরুত্বপূর্ণ চলমান প্রজেক্ট, নীতিমালা পরিবর্তন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এসব তথ্য-উপাত্ত।

বিক্রয়-এর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২২ এর তুলনায় ২০২৩ সালে প্রপার্টি বিক্রেতার অনুপাত বেড়েছে ২০ শতাংশ এবং প্রপার্টি ক্রেতার অনুপাত বেড়েছে ১৭ শতাংশ। প্রপার্টি কেনা-বেচার আসন্ন চড়া মৌসুম সামনে রেখে এই প্রবৃদ্ধি ২০২৪ সালেও বজায় রয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে তিন লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী বিক্রয় এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন। যারা প্রপার্টি কিনতে বা ভাড়া নিতে চান, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে অন্তত ২৫০ শীর্ষস্থানীয় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে এই বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস।

প্রপার্টি গাইড শীর্ষক এ ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রাজধানী ঢাকায় ৩২ শতাংশ বেশি অনুপাত নিয়ে প্রপার্টি বিক্রিতে এগিয়ে আছে মিরপুর। এর পরেই ১৯ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বসুন্ধরা। মূলত উন্নত অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কারণে প্রপার্টি কেনার ক্ষেত্রে এই দুটি এলাকাকে ক্রেতারা প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। প্রপার্টি বিক্রির ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার বাইরে যথাক্রমে ১৯ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ অনুপাত নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রংপুর ও ঢাকা বিভাগ।

ঢাকায় প্রপার্টির খোঁজে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় বসুন্ধরা এলাকার নাম। এর হার ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০ শতাংশ হার নিয়ে এর পরপরই রয়েছে গুলশানের নাম। এতে বোঝা যায়, ক্রেতারা উন্নত এলাকাগুলোতে সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। সারা দেশের হিসেব করলে, ঢাকার বাইরে প্রপার্টি খোঁজার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে খুলনা ও সিলেট।

রাজধানীতে বিক্রির জন্য সহজলভ্য ফ্ল্যাটগুলোতে সাধারণত প্রতি বর্গফুটের জন্য দাম চাওয়া হয় ৫ হাজার ১ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা। এ সকল প্রপার্টির হার ১৭ শতাংশ। তবে বর্গফুট প্রতি ৫ হাজার টাকার নিচে ফ্ল্যাট পাওয়াও তুলনামূলক সহজ। ভাড়ার ক্ষেত্রে, ২২ শতাংশ গ্রাহককে দেখা গেছে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার ফ্ল্যাট খুঁজতে। এতে বোঝা যায়, বিলাসবহুল বাসা ভাড়ায় গ্রাহকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রয়ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

বিক্রয় এর সিইও (চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার) ঈশিতা শারমিন বলেন, “বিক্রয়-এর প্রপার্টি সেগমেন্টের উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি দেখে আমরা আনন্দিত। এই সাফল্য আমাদের ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। প্রপার্টি গাইডলাইনের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আরও সুবিধা প্রদান করা এবং বাজার সম্পর্কে আরও ধারণা দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। প্রথম সারির ডেভেলপারদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রপার্টি বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তথ্য-ভিত্তিক কৌশল ব্যবহার করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

Nagad

সপ্তক গৃহায়ন লিমিটেড এর সিওও (চিফ অপারেটিং অফিসার) মুশফিক রহমান বলেন, “পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বিক্রয়-এর সঙ্গে কাজ করছি। তাদের অসাধারণ সার্ভিস আমাদের উল্লেখযোগ্য গ্রাহক পেতে সহায়তা করেছে। বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক রিভিউ, মূল্যের তারতম্য, আসন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রপার্টি গাইড বাংলাদেশের এ সাম্প্রতিক উন্মোচন একটি গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে বিক্রয়কে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও সাফল্য ধরে রাখার প্রত্যাশা রাখি।”

রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড এর হেড অব মার্কেটিং মোঃ সামিউল হাসান বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড বিক্রয় এর প্ল্যাটফর্মের উল্লেখযোগ্য গ্রাহক হিসেবে সম্পৃক্ত আছে। এর ফলে আমাদের ব্র্যান্ড ক্রেতাদের কাছে আরও দৃশ্যমান হয়েছে এবং প্রপার্টি বিক্রির হারও অভাবনীয় পরিমাণে বেড়েছে। প্রপার্টি গাইড বাংলাদেশ চালু হবার মাধ্যমে বিক্রয় তার ক্লায়েন্টদের কার্যকরভাবে সেবা দেওয়ার অবস্থানে পৌঁছেছে। ফলে আসন্ন প্রকল্পগুলোর বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া এবং বিশদ বিবরণ জানা সম্ভব হবে। আমরা বিক্রয়-এর সঙ্গে আমাদের সফল অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদী এবং তাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত কামনা করছি।”

বাংলাদেশে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করতে বিক্রয় ভবিষ্যতেও বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার আশা ব্যক্ত করেছে।