কারাগারে অসুস্থ ইশরাক, রিমান্ড শুনানি পেছাল
কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। এ কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতার একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৩ জুন ঠিক করেছেন আদালত। কারাগারে অসুস্থ থাকায় ইশরাক আদালতে হাজির হতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত আগামী ১৩ জুন রিমান্ড শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০মে) এ মামলায় ইশরাকের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারাগারে অসুস্থতার জন্য আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ জুন ঠিক করেন।


গত ২৯ মে ইশরাকের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক মো. কবির হোসেন হাওলাদার।
এর আগে গত ১৯ মে ১২ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন ইশরাক। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ১১টি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার রাষ্ট্রদ্রোহের ওই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীতে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টায় মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে ইশরাকের বিরুদ্ধে হওয়া ১২ মামলায় জামিন চেয়ে তার আইনজীবী আবেদন করলে আদালত ১১টি মামলায় জামিন দেন। তবে রাষ্ট্রদ্রোহের ওই মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।