ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পরে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি: কাদের
ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পরে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি এবং মর্মান্তিক কিছু দুর্ঘটনা ঘটে জানিয়ে পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা মানুষ হিসেবে আমাকে কষ্ট দেয়। একটা মন্ত্রণালয়ে এতদিন দায়িত্ব পালন করার পরও সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না। অথচ নিয়ম তো এমন হওয়া উচিত ছিল, এই বছরের ঈদে যে যানজট এবং দুর্ঘটনা ঘটবে, আগামী বছর তা আরও কমবে। কিন্তু সেখানে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
তাহলে আমরা কী কাজ করছি? আমাদের টিম ওয়ার্কের কী সফলতা আছে? এমন প্রশ্ন ও রাখেন ওবায়দুল কাদের।


বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদ এ সভার আয়োজন করে বিআরটিএ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহরে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। গাড়িগুলো গরীব গরীব চেহারার। ঢাকার চেয়ে গ্রামের গাড়িগুলো ভালো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকার মতো মফস্বল এলাকাগুলোতে পাম্পে তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকের হেলমেট বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিআরটিএ জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেবে যাতে প্রতিটি পাম্প হেলমেট বাধ্যতামূলক করে। ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ এই নীতিতে আমরা যাবো। এটি আজকের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত।
বিআরটিএ’র উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই লক্কর-ঝক্কর বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যদিও এখন ডাম্পিং করতে গেলে দেখা যায় ওই ধরনের গাড়ি আর রাস্তা বের হবে না। তখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা পৃথিবীর কোনো দেশেই বন্ধ হবে না। তবে দুর্ঘটনা ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যানজট এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কিছু যদি আমরা করতে না পারি তাহলে আমাদের নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন দেখতে কী লাভ। প্রতিনিয়তই আমাদের কথা শুনতে হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান প্রমুখ।