ফের প্রকাশ্যে ইসরায়েলের রাজনৈতিক বিভাজন, নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি
হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল তেল আবিব। চলমান যুদ্ধ ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাদের সংকল্পকে আরও শক্তি দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা। এসময় বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে সৃষ্টি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতির।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পরে সেখান থেকে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।


এই বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান উঠেছে। একইসঙ্গে গাজায় এখনও বন্দী ১৩৪ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বন্দীদের অনেকেই মারা গেছেন।
বেনজামিন নেতানিয়াহু এক সময় বলেছেন তিনিই একমাত্র তার দেশকে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনেক ইসরায়েলি তাকে বিশ্বাসও করেছিলেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস সীমান্তের তার দিয়ে ঝড়ের পর সব বদলে যায়।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ইসরায়েলের নামে গাজায় ন্যাক্কারজনক হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। নেতানিয়াহু দেশকে এমন এক যুদ্ধের ভেতর নিয়ে গেছেন, যা সম্পর্কে ইসরায়েলবাসীর পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই।
এদিকে, বিশ্বে স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অবরুদ্ধ গাজার আল শিফা হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে ২১ রোগী মারা গেছেন।
অপরদিকে, ফিলিস্তিনপন্থী হাজার হাজার মানুষ শনিবার লন্ডনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত এ অঞ্চলের জন্য আরও সাহায্যের দাবিতে যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে এটি ছিল সর্বশেষ বিক্ষোভ-সমাবেশ।
ফিলিস্তিন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন আয়োজিত এ বিক্ষোভ-সমাবেশ শহরের কেন্দ্রস্থলে রাসেল স্কোয়ারে শুরু হয় এবং পরে তারা মধ্য দুপুরের সমাবেশের জন্য ট্রাফালগার স্কোয়ারে যায়।