অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহপাঠীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা, প্রক্টরকে অব্যাহতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযোগ ওঠা আইন বিভাগের (২০১৮-১৯) সেশনের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দীক আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৬ মার্চ) ভোর ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


ওই সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শুক্রবার রাতে কুমিল্লা শহরে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এদিকে আত্নহত্যার ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রত বিচারের আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন উপাচার্য। এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে জবির আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যা করার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য সহকারী প্রক্টর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী নামে একজনকে দায়ী করেন। স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিমের কাছে এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন।