জামিন মঞ্জুর: মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর মুক্তিতে বাধা নেই
বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে (গত বছরের ২৮ অক্টোবর) সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত এ শুনানি এ আদেশ দেন।


ফখরুল-খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তিতে বাধা নেই।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলায় তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। এই এক মামলায় জামিন পাওয়ায় তাদের কারামুক্ত হতে আর বাধা নেই।
জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনিও কারাগারে রয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।