ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ, আপিলের আগেই দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি করা আয়করের বিরুদ্ধে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আবেদন করতে হলে আগে দুই অর্থবছরের আয়করের এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ৫০ কোটি টাকা আগে জমা দিতে হবে বলে হাইকোর্টের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

হাইকোর্ট জানান, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা আক্তার বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দুই অর্থবছরে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে তাদের এই পাওনা বলে দাবি করে রাজস্ব বোর্ড।

কিন্তু নোটিশ পাঠানোর পরই তা চ্যালেঞ্জ করে বসে গ্রামীণ টেলিকম। এনবিআরের নোটিশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওই নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এ নিয়ে রুলও জারি করে আদালত।

Nagad

এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি আসে বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে। এরপর শুনানি করে গ্রামীণ টেলিকমের রিট খারিজ করে দেয়া হয়।

একইসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী এনবিআরের দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ কোটি টাকা আগে জমা দিয়ে তারপর আপিল দায়ের করতে গ্রামীণ টেলিকমকে বলা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান। সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।