নোয়াখালীতে ভোটের রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
নোয়াখালীতে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সুবর্ণচরের উপজেলায় এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও বাকি ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই রায় ঘোষণা করেন। গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পুনঃনির্ধারণ করা হয়।


মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন মো. রুহুল আমিন, মো. হাসান আলী, মো. সোহেল, স্বপন, ইব্রাহিম খলিল, আবুল হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. মুরাদ ও মো. জামাল। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন মো. হানিফ, মো. চৌধুরী, মো. বাদশা আলম, মোশারফ ও পলাতক আসামি মো. মিন্টু।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেয়ার জেরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।
ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন।