তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, পাবনা-নাটোরে বিদ্যালয় বন্ধ, উত্তরে আরো বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৪

ছবি- সংগৃহীত

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পাবনা ও নাটোর জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার (২২ জানুয়ারি) পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে উত্তরের পাঁচ জেলাসহ দেশের মোট ছয় জেলায় গতকাল রবিবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) তা উত্তরের আরো কিছু জেলায় ছড়াতে পারে। সব মিলিয়ে আজ দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে মাসের বাকি দিনগুলোতে পুরো দেশে শীতের অনুভূতিতে বড় কোনো তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বদলগাছি আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল রোববার যা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) বয়ে গেছে, যা আজও অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী ও নওগাঁর বদলগাছীতে, ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯.৮ এবং কিশোরগঞ্জের নিকলি ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি।

সামগ্রিকভাবে অঞ্চলভেদে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ থেকে ১৫.৫ ডিগ্রির মধ্যে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ থেকে ২৮ ডিগ্রির মধ্যে।

Nagad

এর আগে টানা শৈত্য প্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সমকালকে জানান, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। শুধু পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে অন্যান্য কাজের জন্য উপস্থিত থাকবেন।

গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক নির্দেশনায় জানায়, কোনো জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেই জেলায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখা যাবে।