আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
ফরিদপুর–৪
জাফর–নিক্সনে বিভক্ত আওয়ামী লীগ.
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার হাটকৃষ্ণপুর বাজারটি শত বছরের পুরোনো ও সবচেয়ে বড়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় গতকাল শুক্রবার জনসমাগম ছিল বেশি। বেলা ১১টায় বাজারের একটি কাপড়ের দোকানের সামনে দেখা গেল মধ্যবয়সী আট থেকে দশজন আড্ডা দিচ্ছেন। কাছে যেতে বোঝা গেল, তাঁদের আড্ডার আলোচনার বিষয় নির্বাচন। তাঁরা এই প্রতিবেদককে বলেন, আগের দুবার স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরী জিতলেও এবার লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। সেখানে আলহাজ মিয়া, জাহাঙ্গীর মাতাব্বর, রাজ্জাক মাতাব্বরসহ আড্ডায় থাকা অন্যরা বলেন, আগের দুবার তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেছেন। ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর—তিনটি উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর–৪ আসন। এখানে নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচন করছেন ঈগল প্রতীকে। তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। নৌকা ও ঈগলের প্রার্থী একই দলের হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা দুই ভাগ হয়ে গেছেন; মানে জাফর–নিক্সনে বিভক্ত সেখানকার আওয়ামী লীগ। সূত্র: প্রথম আলো


‘দলের পক্ষ থেকে ২৫ পয়সাও পাই নাই’
ঢাকার ২০ আসনে ৩৪ জন প্রার্থী দিয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া চার রাজনৈতিক দল। এসব প্রার্থীর মধ্যে অনেকে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, দলের সহযোগিতার অভাবে রাজধানী ও ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। কয়েকজনের ভাষ্য, দলের পক্ষ থেকে আর্থিক বা লোকবল কোনোভাবেই সহায়তা করা হচ্ছে না।তারা একাই নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এসব প্রার্থীর অভিযোগ, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে দলের কোনো দিকনির্দেশনা ছাড়াই নিজ খরচে চলছে তাঁদের নির্বাচনী গণসংযোগ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন বিবাদে।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পায় তৃণমূল বিএনপি।বিএনপির সাবেক নেতাদের নিয়ে গঠিত দলটি ঢাকার ১৪টি আসনে প্রার্থীদের সোনালি আঁশ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন প্রার্থী প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।ঢাকা-১২ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ‘জনতার কথা বলে’র সভাপতি মুহাম্মদ নাইম হাসান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর নির্বাচনী এলাকা মগবাজারে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা একাই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।
দেশে ঠকাচ্ছে দালাল, বিদেশে নিয়োগকারী
চাকরি নিশ্চিত হলে বিদেশে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেয় সরকার। কত টাকা ব্যয়ে, বিদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে, কত বেতনে, কী কী সুবিধা ও শর্তে বাংলাদেশি কর্মী চাকরি করতে যাচ্ছেন– প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমতিতে তা লেখা থাকে স্পষ্ট করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত ব্যয়ের কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়ে কর্মীরা চাকরি পাচ্ছেন না। বিদেশে পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীকে বিমানে উঠিয়েই আর দায়িত্ব নিচ্ছে না। প্রবাসে মানবেতর জীবনযাপন করে তাঁকে দেশে ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে। সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে ভালো চাকরি ও বেতনের প্রলোভনে বিদেশে পাঠিয়ে এই কর্মীদের দেশে ঠকাচ্ছে দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি। আর কাজ না থাকলেও ‘ভিসা বিক্রি করে’ কর্মীদের বিদেশ নিয়ে ঠকাচ্ছে নিয়োগকারী কোম্পানি। এতে যোগসাজশ রয়েছে দেশের দালাল এবং বিদেশের কোম্পানির। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রবাসী দিবস। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি সরকারের অনুমোদন পেলেও এবারই প্রথম পালিত হচ্ছে জাতীয়ভাবে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধাখ্যাত বিদেশে থাকা কর্মীরা। তাদের গুরুত্ব দিতেই এ বছর থেকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের পরিবর্তে প্রবাসী দিবসে জোর দিয়েছে সরকার। তবে নির্বাচনের কারণে এবারও আয়োজন কম। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মাননা দেওয়া হবে প্রবাসী সিআইপিদের। হবে আলোচনা সভা। সূত্র: সমকাল
নির্বাচনে আচরণবিধির ব্যাপক লঙ্ঘন
মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন বন্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই বললেই চলে। নির্বাচন কমিশনে পাঠানো তাদের গত কয়েক দিনের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তিনশ আসনে প্রতিদিন গড়ে ৫০টিরও কম ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রার্থীদের জরিমানা করার ঘটনা দৈনিক কমবেশি ৩০টি। কয়েক জেলায় তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অথচ আচরণ বিধি বন্ধে তিনশ আসনে ৭৫৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। তবুও প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন আসনে প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়া, প্রতিপক্ষকে মারধর, হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ ইসিতে আসছে। বিশেষ করে সরকারি দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদিনই নানা ধরনের অভিযোগ করছেন। যদিও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়ীদের তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আরও জানা গেছে, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি ইসিতে প্রতিবেদনেও দৃশ্যমান কঠোর ব্যবস্থার সুপারিশ খুবই কম রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ২৯৬টি শোকজ করেছেন অনুসন্ধান কমিটি। এর মধ্যে ২০১টির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে। কমিশন মাত্র ৫৭টি প্রতিবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এতে কয়েকজনের প্রার্থী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে। বাকিদের সতর্ক করে দায় সেরেছে। অবশ্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের কয়েকটি ঘটনার সত্যতা পায়নি কমিটি। তবে অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগর প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ টাকা এবং একই দলের বরগুনা-১ আসনের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও ইসির জরিমানার রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র: যুগন্তর
প্রচারণায় সরগরম ভোটের মাঠ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি সাত দিন। দরজায় কড়া নাড়ছে জাতীয় নির্বাচন, তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীসহ সারা দেশের প্রার্থীরা। গতকাল ছুটির দিনে প্রচারযুদ্ধে আরও জমজমাট ছিল ভোটের মাঠ। পৌষের শীত উপেক্ষা করে জোর প্রচারণায় ব্যস্ত থেকেছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য সব দলের প্রার্থী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন। গতকাল দিনের শুরুতে সাইকেল র্যালি করে প্রচারণা শুরু করেন ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস। নির্বাচনি প্রচারের পাশাপাশি নাগরকিদের সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার জন্য এমন আয়োজন বলে জানান ফেরদৌস। সাঁতারকুল এলাকায় গণসংযোগ দিয়ে শুরু করেন ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মোক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন। এ ছাড়া তিনি দিনব্যাপী নির্বাচনি এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন। ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পক্ষে তার সহধর্মিণী ডা. সুলতানা শামীমা চৌধুরী রীতা মালিবাগ মোড়, শান্তিবাগ, শাহজাহানপুর বেনজির বাগান, ইনকাম ট্যাস্ক কলোনি এলাকায় জনসংযোগ করেন। ঢাকা-৯ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী প্রচারণা চালান গোড়ান এলাকা। একই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবুল খায়ের গণসংযোগ করেন খিলগাঁও এলাকায়। এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রাথী রুবিনা আখতার রুবি খিলগাঁও এলাকায় গণসংযোগ করেন। ঢাকা-৪ আসনে আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সানজিদা খানম মিতালি গলি, মোহাম্মদ বাগ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন। একই আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা কদমতলী থানার ঋষিপাড়া ইসলামাবাদ, শ্যামপুর থানার ডিআইটি প্লট চত্বর, জুরাইন রেলগেট ও হাফেজনগর এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন। ঢাকা-৭ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন দিনব্যাপী পুরান ঢাকার বংশাল, মালিটোলা, আজিমপুর ছাপরা মসজিদ এলাকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। ঢাকা-১১ আসনে গণফ্রন্টের শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বনশ্রীর ১ নম্বর রোড গুডউইল স্কুল, মালিবাগ, তালতলা মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ভোটের সুযোগে বিদেশ সফরে মন সরকারি কর্মকর্তাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সরকারের দৈনন্দিন কাজ ছাড়া নীতিনির্ধারণী সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। মন্ত্রিসভা বহাল থাকা অবস্থায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। ফলে এই সময়ে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বেশি। কিন্তু বাস্তবে সরকারি কর্মকর্তারা এই সময়ে দল বেঁধে বিদেশ সফর করছেন। নথিপত্র থেকে জানা যায়, শুধু স্থানীয় সরকার বিভাগেরই ৭০-৭৫ জন কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিদেশ সফরের বিষয়ে অফিস আদেশ জারি হয়েছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সামগ্রী জাহাজীকরণ পর্যবেক্ষণের নামে এসব ভ্রমণ বা সফর সেরেছেন কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করছে, এসব ভ্রমণ স্বাভাবিক কাজের অংশ।জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভ্রমণ ও বদলি খাতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা খরচ করেছে। চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ আরও বেশি। এবার এই খাতে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে ভ্রমণ বা প্রশিক্ষণ চলছে, বিষয়টি এমন নয়। মন্ত্রণালয় বা সংস্থাগুলো থেকে যেসব বিদেশ ভ্রমণ হয়েছে বা হবে, তা পূর্বনির্ধারিত। এখানে তাড়াহুড়া করে কোনো প্রশিক্ষণ আয়োজন করার মতো ঘটনা নেই। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী দীর্ঘ সময়ের বাসিন্দারা
তিন দশকে দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল, রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে এ সময়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিকিরণ (রেডিয়েশন) ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি। এতে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘ সময়ে বসবাসকারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। ক্যান্সার, হৃদরোগ, প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষতি, সংক্রামক রোগের বিস্তারসহ বিভিন্ন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের বাইরেই থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।তারা বলছেন, রোগ নির্ণয়ে বিকিরণের ব্যবহার চিকিৎসাবিজ্ঞানের বড় আবিষ্কার। তবে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় ও বিকিরণ সৃষ্টিকারী চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দৈনিক বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি করছে। এগুলো হলো প্লাস্টিক, ওষুধ, ধারালো সরঞ্জাম, রাসায়নিক, তেজস্ক্রিয়, সংক্রামক ও সাধারণ বর্জ্য। এসব বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাড়ছে। কিছু রোগ দ্রুত সৃষ্টি হচ্ছে আবার কিছু রোগ তৈরি হয় দীর্ঘদিন পর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সৃষ্ট মোট বর্জ্যের ১৫ শতাংশের বেশি সংক্রামক, বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয়। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৬০০ কোটি ইনজেকশন মানবদেহে প্রয়োগ করা হলেও সব সুচ ও সিরিঞ্জ সঠিকভাবে ধ্বংস করা হয় না। কিছু কিছু চিকিৎসা বর্জ্য পুড়িয়ে ফেললে আবার ডাইঅক্সিন ও পদার্থ কণা নির্গমন হয়। এসব বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি। সূত্র: বণিক বার্তা ।
নির্বাচনকে সামনে রেখে আ’লীগ ও বিএনপির পক্ষে-বিপক্ষে যে ধরনের ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে
বাংলাদেশে গত ৯ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একটি ফেসবুক পেজ থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে লেখা একটি ভুয়া বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। মনোনয়ন বাণিজ্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে লেখা ঐ ভুয়া বক্তব্যটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ১৯টি ফেসবুক পেজ পুনরায় প্রকাশ করে।এর মধ্যে ১৮টি পেজেই হুবহু একই শিরোনাম এবং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়।প্রায় কাছাকাছি সময়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে জড়িয়েও একটি ভুয়া খবর ছড়ানো হয়।গ্রাফিক কার্ড আকারে ছড়ানো ঐ ভুয়া খবরে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়, ‘বিএনপির অবরোধ চলাকালে পেট্রোল ঢেলে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার সময় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ’।এটিও অল্প সময়ে মধ্যে অসংখ্য ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে।বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায়ই এ ধরনের ভুয়া খবর ও অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বোমা ফাটিয়ে অস্ত্রের মুখে মাদরাসাছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রের মুখে সাইফুল ইসলাম (১৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও ছাত্রদের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।অপহৃত সাইফুল বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী জালাল উদ্দিনের ছেলে। সে রামারখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। নানার বাড়িতে বসবাস করছে সে।পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানায়, অপহরণকারীরা সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে সশস্ত্র ১৮/২০ জন ছিল। হঠাৎ কিছু বুঝে উঠার আগেই বোমা পাঠিয়ে এলোপাতাড়ি ঘর-বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে সাইফুলকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করতে করতে তুলে নিয়ে যায়। এসময় বাঁধা দিলে পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকটি বোমা পাওয়া যায়।তাদের অভিযোগ, স্থানীয় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে শ্রমিক ভিসায় ওমানে নেয় সাইফুলের বাবা। পাঁচ মাস পরে ওই ব্যক্তি দেশে ফিরে এসেই তার দেওয়া টাকাগুলো দাবি করছে। ওই ব্যক্তিই সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে সাইফুলকে অপহরণ করেছে বলে দাবি তাদের। সূত্র: বাংলানিউজ
বিদ্যুতে সরকারের সবচেয়ে বড় বোঝা এখন আইপিপি
ক্রমাগত লোকসান ও অর্থ সংকটে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। পরিশোধ করতে পারছে না বেসরকারি উৎপাদনকারীদের (আইপিপি) কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দাম। সরকার এতদিন ভর্তুকি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেও এখন সেটিরও জোগান দেয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে আইপিপিগুলোর কাছে বিপিডিবির দেনা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সরকার পরিকল্পনা করছে ভর্তুকির অর্থ নগদে পরিশোধ না করে স্পেশাল ট্রেজারি বন্ডে রূপ দেয়ার। বিপিডিবির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটি বিদ্যুৎ কেনায় মোট অর্থ ব্যয় করেছে ৯৮ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু আইপিপি থেকেই কেনা হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার ২৩ কোটি টাকার বিদ্যুৎ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এ বাবদ বিপিডিবির ব্যয় ছিল ৪৯ হাজার ২১৩ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী গত অর্থবছরে আইপিপি থেকে বিদ্যুৎ কেনায় বিপিডিবির ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। আইপিপিগুলোর কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে বিপিডিবি। আবার এ দামও ক্রমেই বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আইপিপি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনায় সংস্থাটির ব্যয় হয়েছে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা। যেখানে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে এ মূল্য ছিল ৬ টাকা ৬২ পয়সা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিপিডিবি আইপিপিগুলোকে প্রতি ইউনিটের দাম পরিশোধ করেছিল ১১ টাকা ৫৫ পয়সা। সূত্র: বণিক বার্তা ।