আচরণবিধি লঙ্ঘনে ২০৮ প্রার্থীকে শোকজ, বেশি লঙ্ঘন হেভিওয়েট প্রার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩

আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলছে। তবে নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। ফলে একের পর এক প্রার্থীকে শোকজ ও তলব করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে শোকজের সংখ্যা দুই শ’ ছাড়িয়ে গেছে। দেখা গেছে- ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীরা বেশি বেশি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচন কমিশন একের পর এক প্রার্থীদের শোকজ করে যাচ্ছে, তলব করছে কাউকে কাউকে। মামলাও করা হচ্ছে কোনো কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২০৮ জন প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া প্রার্থী এবং তাদের সমর্থক ছাড়াও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ইসি প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাচ্ছে।

শোকজের তালিকায় রয়েছেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, শিল্পী মমতাজ বেগমসহ আরও অনেক আলোচিত ও হেভিওয়েট প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার যুগ্মসচিব মাহবুবার রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আচরণবিধি ভাঙায় দুজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি— এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করলে সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে যায়। এইসব মামলার সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে চলে আসবেন। প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তারা স্বস্তিতেই থাকবেন। যেমন কুমিল্লার বাহার সাহেবকে এর আগে, সিটি ভোটে এলাকা ছাড়তে বলেছিল ইসি। উনি কিন্তু এলাকা ছাড়েননি। আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছিল। এজন্য যেসব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের ক্ষেত্রে বিধিবিধানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে হবে ইসিকে।

Nagad

এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে এটা ফৌজদারি অপরাধ হয়ে যাচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু যদি ফৌজদারি অপরাধ হয়, তাহলে সেটা তো আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। যেসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিষয়ে ইসিকে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করতে হবে। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে।