‘মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে, মানুষ নিজের পছন্দমতো ভোট দিতে পারলেই গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকবে। দেশটা এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি-জামায়াতের হাতে এই দেশ কখনো নিরাপদ নয়। এদের হাত থেকে দেশরক্ষা করার আহ্বান জানাই সবাইকে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। আজ কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই ভয়ংকর রূপ নিয়ে আবারও মাঠে নেমেছে বিএনপি-জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ভয়ংকর রূপ নিয়ে নেমেছে বিএনপি। মাত্র কয়েক দিন আগে রেলে আগুন দিলো, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল, রেলের বগি পড়ে সেখানে একজন মারা গেল। বাসে আগুন দিচ্ছে, ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মারা গেল। ঠিক এভাবে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে।

তিনি বলেন, ট্রেনে একটা মা তার শিশুকে কোলে নিয়ে বসে আছে, সেখানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে কঙ্কাল করেছে, কোনো মানুষের ভেতরে মনুষ্যত্ব থাকলে এ ঘটনা ঘটাতে পারে না।

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় হবে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট চাই, সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ দেবেন।

শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে একবারই ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল, আমরা ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি।

Nagad

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির নেতা কে? সেটাই প্রশ্ন, দুইটাই তো সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে আজ খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারপরও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে, তার বোন-ভাই যখন আমাদের অনুরোধ করেছে, আমরা তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। তারেক জিয়া আমাকে গ্রেনেড হামলা করে মারতে চেয়েছিল, বোমা মেরে মারতে চেয়েছিল, গুলি করেছে, তারপরও তার জন্য আমরা এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক এলে মুচলেকা দিয়ে আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে নাকে খত দিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়। বিদেশ থেকেও হুকুম করছে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার। বিএনপির যারা নেতাকর্মী, আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়, পাপের ভাগীদার আপনারাই হবেন, তারেক জিয়া হবে না। ও তো ওখানে জুয়া খেলে ভালো আছে আর হুকুম দিচ্ছে। আপনারা নাচেন, কার জন্য নাচেন? জীবনে কোনোদিন সে তো দেশে আসে নাই, মা মরে মরে, তাও তো দেখতে আসে না। এত সাহস থাকলে একবার দেশে এসে দেখুক, এ দেশের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সুসংহত করতে চাই আমরা। সব প্রার্থী ভোটারদের কাছে যাবেন। তাদের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করবেন। দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তখন তারা সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, ওরা সন্ত্রাসী। ওরা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে চলছে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে না পারলে, দেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা যাবে না।

বিএনপি-জামায়াত তথা অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে দেশের উন্নয়ন রাখার অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।