আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
১০ বিসিএসের মধ্যে সর্বোচ্চ পদ নিয়ে আসছে ৪৬তম বিসিএস, বিজ্ঞপ্তি আগামীকাল
আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হতে যাচ্ছে নতুন একটি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি। এই বিসিএস হবে ৪৬তম সাধারণ বিসিএস। এতে ক্যাডার ও নন–ক্যাডার পদ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। গত ১০টি বিসিএসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাডার পদ রেখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএসের চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। এই বিসিএসের পদ নির্দিষ্ট করার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ শাখা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নব নিয়োগ শাখার যুগ্ম সচিব সায়লা ফারজানা প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয় ৪৬তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের চাহিদাপত্র পিএসসিতে পাঠিয়েছে। এখন পিএসসি সেটির ওপর কাজ করে নিয়ম অনুসারেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।৪৬তম বিসিএসের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘৪৬তম বিসিএসের চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পিএসসিতে এসেছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। সময় অনুসারেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ করা হচ্ছে।’ সূত্র: প্রথম আলো


আ. লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই শ হওয়ার পথে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৪০ জন পদধারী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ প্রার্থী নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্যরা শিগগিরই মনোনয়নপত্র নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর।আগামীকাল বৃহস্পতিবার নাগাদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা দুই শ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন ফরিদপুর-১ আসনে কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. আরিফুর রহমান দোলন। ফরিদপুর-২ আসনে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জামাল হোসেন মিয়া, ফরিদপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ এবং ফরিদপুর-৪ আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী এমপি। সূত্র: কালের কণ্ঠ
শরিকদের ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ
আসন ভাগাভাগি নিয়ে চলছে দরকষাকষি
ক্ষুব্ধ ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা * আ.লীগ, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৬ দলের ভোটের প্রস্তুতি
নির্বাচনের বল মাঠে গড়াতেই শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জোটের শরিকসহ অনেক নেতা আসন ভাগাভাগির জন্য দরকষাকষির ছক নিয়ে তৎপর। একাদশ সংসদ নির্বাচনে পাওয়া আসনের পাশাপাশি নতুন আসন বা ভোটের পর কী পদ আদায় করা যায়, সে পরিকল্পনায় ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কথাও বলছেন। কেউ কেউ গত নির্বাচনের চেয়ে এবার বেশি আসন দাবি করে বসেছেন। কীভাবে আসনগুলো নিজেদের আয়ত্তে আনা যায়, সেই কৌশল নির্ধারণে সময় পার করছেন নেতারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল রূপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত শরিকদের জন্য কোনো আসন ছাড়ের ঘোষণা না দেওয়ায় হঠাৎ করেই এক ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন জোটভুক্ত দলের অনেক নেতা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা কতটুকু ছাড় দেবে, কতটুকু আনুকূল্য দেখাবে-এমন ভাবনা পেয়ে বসেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট শরিকদের। শরিক দলের যেসব নেতা নৌকায় ভর করে কয়েক দফা সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সময়ও খুব ভালো কাটছে না। সূত্র: যুগান্তর
৭ জানুয়ারি নির্বাচন হচ্ছে না——– ড. আসিফ নজরুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে তার ডামি প্রার্থী বা অনুগত দলগুলোর প্রার্থীদের নির্বাচন। কাজেই এটিকে নির্বাচন না বলে একদলীয় নির্বাচন বলা যেতে পারে। আরেকটু এগিয়ে এটিকে বাকশাল-২ প্রতিষ্ঠার নির্বাচনও বলা যায়। তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন একদলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা, গ্রেফতার, দ্রুত বিচার ও সাজাদান এবং হামলা করে রাজনীতির মাঠছাড়া করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে সরকার দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাচ্ছে। এক. নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় বিএনপির অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ করা। দুই. সাজানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলনের শক্তি ধূলিসাৎ করা। এ কাজে পুলিশ, জনপ্রশাসন, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে সরকার। আমরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, একতরফা, বিতর্কিত ও সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সংসদে বা অন্য কোথাও সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকে না; রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি দলের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, দেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, নির্যাতন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাচার, ব্যাংকের মূলধন লুটপাট, অন্য দেশে অর্থ পাচার এবং বিদেশি রাষ্ট্রের খবরদারি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
জোটের সমীকরণ এখনো মেলেনি
ধীরে চলো নীতিতে আওয়ামী লীগ
এখনো মেলেনি জোট ও ভোটের হিসাব। আওয়ামী লীগ এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে ২৯৮টি আসনে। এখন ১৪ দলের শরিকদের কতটি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি তারা এককভাবে নির্বাচন করবে সেটা নিশ্চিত হয়নি। ১৪ দলীয় জোট ছাড়াও ‘ভোটের জোটের’ কারণে কয়েকটি আসন ছাড়তে পারে আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে কাদের কপাল পুড়ছে, কাদের কপাল খুলছে- তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। কাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও ধীরে চলো নীতিতে এগোতে চায় আওয়ামী লীগ। পরিস্থিতির আলোকে জাতীয় পার্টিকেও ছেড়ে দেওয়া হতে পারে কিছু আসন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বিএনপির ভোটে আসা না আসার ওপর। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতার আশাবাদ ভোটে বিএনপি অংশ নেবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী কাল নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের স্ত্রীকে বিষ প্রয়োগ
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর (জিইউআর) প্রধানের স্ত্রীর শরীরে বিষপ্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। তাকে একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জিইউআরের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির। ইউসভ জানান, গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিরিলো বুদানভের (৩৭) স্ত্রী মারিয়ানা বুদানভার (৩০) শরীরে ভারী কোনো ধাতু দিয়ে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া বাহিনীর আরও বেশ কয়েকজন সদস্যের মধ্যে বিষক্রিয়ার হালকা লক্ষণ দেখা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মারিয়ানার শরীরে যে পদার্থ প্রয়োগ করা হয়েছে তা প্রাত্যহিক জীবনে বা সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয় না। মারিয়ানার শরীরে যে ভারী ধাতু দিয়ে বিষয় প্রয়োগের কথা সন্দেহ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।এই ঘটনার পেছনে রাশিয়ার কোনো হাত রয়েছে কি না তা ইউক্রেনের কোনো গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়নি। সূত্র: সমকাল
দেশে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি
মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার
প্রবাসে মাত্র ৫০ লাখ বাংলাদেশি
দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ এবং নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা সামান্য বেশি। জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উঠে এসেছে এসব তথ্য। গতকাল মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। রাজধানীর আগারগাঁও বিবিএস কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহমেদ। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সূত্র: দেশ রুপান্তর
দেশে প্রথম নারী ফায়ার ফাইটার নিয়োগ
ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী ফায়ার ফাইটার পদে যোগ দিয়েছেন ১৫ নারী। নিয়োগপত্রের শর্ত অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বর তাঁরা নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। যোগদানের পর তাঁদের মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসে অফিসার পদে নারী কর্মকর্তা যোগ দিলেও ফায়ার ফাইটার পদে কোনো নারী নিয়োগ পাননি। চলতি বছরের ২০ জুন ফায়ার ফাইটার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফায়ার ফাইটার (নারী) পদে ২ হাজার ৭০৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা, মেডিকেল টেস্ট, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১৫ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সিভিল সার্জনের সুস্থতার সনদসহ তাঁরা এই পদে যোগ দেন। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।
রাজনৈতিক অস্থিরতা: বিজিএমইএ আত্মবিশ্বাসী, তবে আরএমজির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত প্রস্তুতকারকেরা
জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। এর মধ্যেই চলমান ডলার সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে অস্থিতিশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তবে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ী নেতারা এই ঝড় মোকাবিলায় শিল্পের সক্ষমতার ওপর আস্থা প্রকাশ করেছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে কিছু পোশাক রপ্তানিকারক, ব্র্যান্ড ও বায়িং হাউসের প্রতিনিধিরা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা, চলমান অস্থিরতার প্রভাব পড়তে পারে এ শিল্পের ওপর। অন্তত ১০ জন রপ্তানিকারক, ব্র্যান্ড ও বায়িং হাউসের প্রতিনিধি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন যে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন না হলে পোশাক ব্যবসায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এমনিতেই সম্প্রতি ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের সহিংস আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছে খাতটি। তারা বলেন, মার্কিন সরকার যদি ‘অগ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে কমপ্লায়েন্স উদ্বেগের কারণে বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে সোর্সিং বন্ধ করে দিতে পারে। এতে তাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট
অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে এক মাসে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়!
অর্থবছর শেষ হয়েছে পাঁচ মাস আগে। অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রকাশ করেছে গতকাল। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বশেষ মাস জুনে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে) মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয় ছিল জুলাইয়ে ২০ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। আর এ ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় হয় গত মে মাসে ৬৪ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। ১১ মাসের গড় হিসাব করলে দেখা যায়, এ সময় গড় ব্যয় ছিল ৩৮ হাজার ১১৮ কোটি টাকার কিছু বেশি। সেখানে সর্বশেষ মাস জুনে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় অনেকটা বিস্ময়কর। এক মাসের মধ্যে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের সক্ষমতা দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য হলো এতে ব্যয়ের উদ্দেশ্য অর্জন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি এর স্বচ্ছতা ও গুণগত মানও নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্নের অবকাশ তৈরি হয়। শেষ মাসটিতে এ বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের পরও গত অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে সরকারের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে সংশোধিত বরাদ্দের ৮৬ দশমিক ১৫ শতাংশে। অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে মোট ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে পরিচালন খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৪ লাখ ১১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। পরে বাজেট সংশোধন করে পরিচালন খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয় ৪ লাখ ১৪ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৪১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। এর মধ্য দিয়ে সংশোধিত বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ব্যয়ের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯০ কোটি টাকায়। গোটা অর্থবছরের পরিচালন খাতে ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৬১ হাজার ২১ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা। এর মধ্য দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে সরকারের মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩ কোটি টাকায়। সূত্র: বণিক বার্তা।
‘বিএনপির কারা ভোটে আসছে দেখে, ‘কৌশল সাজাবে’ আওয়ামী লীগ’
মনোনয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কৌশল নিয়ে সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘বিএনপির কারা ভোটে আসছে দেখে, ‘কৌশল সাজাবে’ আওয়ামী লীগ’ -প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখ পেরোলেই বিএনপির কারা কারা ভোটে আসছেন তা স্পষ্ট হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সেটা দেখার পরই ক্ষমতাসীনরা ‘জোটগত ভোট’, ‘ডামি প্রার্থী’সহ নির্বাচনী ‘কৌশল সাজাবে’ বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির কেউ কেউ নির্বাচনে আসতে পারেন। কেউ কেউ প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এর মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা আসলেন।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।