জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল : আপিল বিভাগ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল দলটি। আপিল বিভাগও দলটির নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায় পুনর্বহাল রেখেছেন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না দলটি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।


এর আগে আজ সকালে হরতালে আইনজীবী আসতে পারবেন না কারণ দেখিয়ে নিবন্ধনের শুনানির জন্য ছয় সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। তবে, সময়ের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। শুনানি পেছানোর জন্য গত ১২ নভেম্বর আপিল বিভাগে সময় চাওয়ার পর এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। এর পরের বছরই বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াত ইসলামী আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে ওই বছর ৫ আগস্ট তা খারিজ হয়। পরে ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেলে রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। সে আপিলে পক্ষভুক্ত হয়ে জামায়াতের নিবন্ধনের পক্ষে গত ১ আগস্ট আবেদন করেন ৪৭ ব্যক্তি।
হাইকোর্টের রায়ের পর ওই সময় বিএনপির জোট জামায়াতের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দশম, একাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের মার্চে জামায়াতের জন্য বরাদ্দ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট জারি করে নির্বাচন কমিশন।