বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের কেউ শান্তিতে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে গিলে খাবে-বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন- তারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের কেউ শান্তিতে থাকবে না। তাই তাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুলের নরম কথা বিশ্বাস করবেন না। তারা বিশ্বাস ঘাতক। যাদের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর সাথে, জাতীয় নেতাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে। তাদেরকে আর বিশ্বাস করা যায় না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৭ থেকে চোখে ঘুম থাকবে না। প্রয়োজনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে। যেখানে আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন সেখানে ঘুম দিয়ে কি করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করব না, এই পর্যন্ত করি নাই। তবে এবার তারা আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো যেকোনো মূল্যে আমাদের বিজয় সুসংহত করতেই হবে।
আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাত্তরের বিজয়কে যদি সংহত করতে চান তাহলে বিজয়ের প্রধানতম শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের আসল ঠিকানা বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। এরা হলো সব অপশক্তির বিশ্বস্ত ঠিকানা। এই দলকে পরাজিত করতে হবে। না হলে বিজয় সংহত হবে না।
কাদের বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন- অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করবেন। অলিগলি দখল করলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে গয়েশ্বর বাবুকে স্বাগত জানাতে। মনে নাই, আপনি কোরাল মাছের ঝোল খেয়ে আসছেন! এবার আপনার কপাল খারাপ। আমরা আটঘাট বেঁধে নেমেছি। অলিগলিতেও পালাবার পথ পাবেন না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিজয় যদি নিশ্চিত করতে চান। তাহলে সবার আগে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ঠিকানা বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। যারা আমাদের বিজয়কে বারবার ভূলুণ্ঠিত করেছে, তাদেরকে আমাদের পরাজিত করতে হবে। বাংলার মাটি থেকে এদের অস্তিত্ব মুছে দিতে হবে। তা না হলে চূড়ান্ত বিজয় সংহত হবে না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটি নির্বাচন আমাদের লক্ষ্য না, আমাদের লক্ষ্য দেশ থেকে অপশক্তি, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করা।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।