আজকে শিশু-কিশোররাইতো স্মার্ট বাংলাদেশ চালাবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ করবো, আজকে শিশু-কিশোররাই তো স্মার্ট বাংলাদেশ চালাবে।আমি সেভাবে তাদের গড়ে তুলতে চাই।
বুধবার (অক্টোবর ১৮) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস উদ্বোধন এবং শেখ রাসেল প্রদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের শিশুরা আরও উন্নত হবে। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ থেকে ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ কেমন ছিল? ৯৬ সালে সরকারে এসে ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছি, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছি। ২০০৯-এর পর থেকে আজ পর্যন্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। আমরা শান্তি চাই, আমরা দেশের উন্নতি চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিশ্বে যুদ্ধ চলছে। কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, এখন আবার ফিলিস্তিনের ওপর আক্রমণ। তিনি বলেন, ইসরাইলেরও শিশু মারা গেছে ফিলিস্তিনেও মানুষ মারা গেছে। গতকাল দেখলাম হাসপাতালে বোম্বিং করে মানুষ মেরেছে, রক্তাক্ত সেই শিশুদের চেহারা দেখলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্ব নেতাদের বলবো যুদ্ধ বন্ধ করুন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। যুদ্ধ-অস্ত্র মানুষের মঙ্গল আনে না।
তিনি বলেন, যুদ্ধে সবচেয়ে কষ্ট পায় শিশু আর নারীরা। সন্তান হারা পিতা-মাতা, পিতা-মাতা হারা সন্তান। তাদের যে কী বেদনা, সেটা আমরা জানি। এ জন্য আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাই। বরং এসব অস্ত্র বানানো এবং অস্ত্র প্রযোগীতায় যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই অর্থ সারা বিশ্বের শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং তাদের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হোক সেটাই আমাদের দাবি। আমরা শান্তি চাই, কারণ শান্তি উন্নতি দেয়। আর যুদ্ধ ধ্বংস সৃষ্টি করে। কাজেই আমরা ধ্বংস চাই না, উন্নতি ও শান্তি চাই। এ জন্য আমরা শান্তির পক্ষেই সবসময় কাজ করি।
শেখ রাসেলকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাসেলের জীবনে একটা বড় শখ ছিল বড় হয়ে সে আর্মি অফিসার হবে। কিন্তু সেই শখ তো আর পুরণ হয়নি। পচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বাবা-মা, ভাই সবাইকে হত্যার পর সব শেষেই রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তখন আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আর আমি বিদেশে ছিলাম। ছয়টি বছর দেশে আসতে পারিনি। আর আমাদের এই হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকারও ছিল না।
সরকারপ্রধান বলেন, ধর্ম-বর্ণ সকলকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। আর কেউ যদি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হয়, কেউ যদি পঙ্গু হয়, আমরা তো ছোটবেলায় শিখেছি, অন্ধকে অন্ধ বলিও না, পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না। বরং তাদের সাহায্য করো। আমাদের শিশুদের মানসিকতা সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে।