নারীদের নিজের গুণে অধিকার অর্জন করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীরা শুধু আমাদের অধিকার দাও বললে চলবে না। নারীদের অধিকার নিজেদের আদায় করে নিতে হবে। নারীদের নিজের গুণে অধিকার অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করতেন। তিনি এ দেশে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার পর যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানে কিন্তু নারীর সম-অধিকারের কথা বলা আছে। নারী শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। নারী নেতৃত্ব যাতে গড়ে ওঠে, তার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেন।’


মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) গণভবন কমপ্লেক্স মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রচেষ্টা সবক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরই সেখানে নারীর যে অধিকারের কথা ছিল সব বাতিল করে দিয়েছিলেন। কারণ, তিনি জামায়াতে ইসলামকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। ফলে তাদের ২০ দলীয় জোট নারীদের অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ পুনরায় ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবারও আমরা নীতিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওপর গ্রেনেড হামলা করা হলো, আমাদের ছাত্রলীগ নেতা তুষারকে হত্যা করা হলো। সারাদেশে তখন সন্ত্রাসের রাজত্ব। বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, বোমা হামলাগুলো এসবের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা র্যালি করেছিলাম। কিন্তু আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র্যালি করতে গিয়ে আমরাই গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছি।
তিনি বলেন, বিএনপির অত্যাচার-নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস… বিশেষ করে আমাদের যুব মহিলা লীগের মেয়েদের ওপর যে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। গ্রেপ্তার করা, থানায় নিয়ে আটকানোসহ নানানভাবে তাদের (বিএনপির) নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু তারপরও এর প্রতিবাদ আমাদের মেয়েরা করে গেছে। যখন রাস্তায় পুরুষরা নামতে পারেনি তখন আমাদের আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নারী নেত্রীরাই সাহসের সঙ্গে পথে নেমেছেন। যার ফলেই আমরা আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।