আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২৩

বড় প্রকল্প উদ্বোধন করে ভোটের যাত্রায় আওয়ামী লীগ
বিএনপি অক্টোবরে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে চায়। সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনে বড় জমায়েত করে বিএনপিকে চাপে রাখতে চায়।
বড় বড় প্রকল্প উদ্বোধন করে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। চলতি অক্টোবর মাসজুড়ে বড় প্রকল্প ও গুচ্ছ উন্নয়নকাজ মিলিয়ে সাতটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। প্রায় প্রতিটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন সুধী সমাবেশ হবে। সমাবেশগুলোতে বিপুল জমায়েত নিশ্চিত করবে ক্ষমতাসীন দলটি। শুরুটা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। শেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হতে পারে ২৮ অক্টোবর। ওই দিন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর চট্টগ্রামে বড় সুধী সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। মাঝে ঢাকায় মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল শুরু, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন এবং ১৪০টি সেতু, ১২টি ওভারপাস ও যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র (ভিআইসি) উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে। উদ্বোধন হতে পারে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল চলাচলেরও। সূত্র: প্রথম আলো

পূজার আগে নরম, পরে গরম কর্মসূচি বিএনপির
এবার গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। এ পর্যায়ে ঢাকায় মহাসমাবেশ থেকে সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া, ঢাকামুখী রোড মার্চ, গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় ঘেরাও, অবরোধ এবং প্রয়োজনে হরতাল দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে দলটি। এই কর্মসূচিকে বিএনপি তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে দেখছে। গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর এমন প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।চলমান কর্মসূচির শেষ দিনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। তবে দুর্গাপূজার উৎসব চলাকালে আন্দোলনের কর্মসূচি না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

নৌকা পাবেন না এলাকাবিচ্ছিন্ন এমপি-মন্ত্রী
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগে

এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর গত সাড়ে চার বছরে নিজ এলাকায় কেউ গেছেন একবার। কেউ গেছেন দু-চারবার। দলীয় নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ রাজধানীতে এসেও খুঁজে পাননি জনপ্রতিনিধিকে। কেউ সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিতে বছরে একবার কিংবা দুবার গেছেন। জেলা সার্কিট হাউস বা উপজেলা ডাকবাংলোতে কর্মসূচি শেষ করেই ঢাকায় চলে এসেছেন- এমন এমপি-মন্ত্রীরা এবার নৌকা পাবেন না। আবার কারও ‘গডফাদার বনে যাওয়া, আওয়ামী লীগকে মাইনাস করে ‘এমপি লীগ’, ‘ভাই লীগ’ বা ‘ভাবি লীগ’, ‘আত্মীয় লীগ’ এবং সন্ত্রাসী বাহিনী’ গড়ে তোলা এমপিদের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা দেবেন না আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। একাধিক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার কাছে সার্ভে রিপোর্ট রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী যারা ভালো কাজ করেছেন, যারা জনগণের কাছে যান, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেন, ভোট চান, জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখেন এবং জনগণ যাদের চায় তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। যারা জনবিচ্ছিন্ন, এলাকার লোকজনের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক নেই, এলাকায় যান না- তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে কমছে ক্রয়ক্ষমতা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকা বাজারে ছাড়ার রেকর্ড গড়েছে সরকার। এসব অর্থ বাজারে এসে একদিকে মুদ্রা সরবরাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে কমিয়ে দিচ্ছে টাকার মান। উৎপাদনের চেয়ে টাকার প্রবাহ বেশি থাকায় বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের দাম। এতে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। ফলে মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজস্ব আয় না বাড়িয়ে ছাপানো টাকায় সরকার চলতি ব্যয় নির্বাহ করছে, যা দেশের পুরো অর্থনীতিকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। ছাপানো টাকার কুফলে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় বৈশ্বিকভাবেও দেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলোর প্রতি আস্থার ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। সব মিলে দুর্নাম হচ্ছে দেশের।বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে বিদায়ি অর্থবছরে সরকারের আয় কমেছে, কিন্তু এর বিপরীতে ব্যয় বেড়েছে। বাড়তি ব্যয় মেটাতে সরকারকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ মানেই হচ্ছে ছাপানো টাকা। বিদায়ি অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার ৯৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল ৩১ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে তিনগুণের বেশি ঋণ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাড়তি ঋণ গ্রহণের কারণে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়ে গেছে। যে হারে টাকার প্রবাহ বাড়ছে, ওই হারে উৎপাদন বাড়ছে না। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতি ঘটাচ্ছে। ছাপানো টাকা বাজারে ছাড়ার অন্যতম কুফল হচ্ছে চড়া মূল্যস্ফীতি। এতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। টাকার ক্ষয় হওয়ার কারণে মানুষের আয়ও কমে যাচ্ছে। এতে মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে চাহিদা কমাতে বাধ্য হচ্ছে। যারা দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন, তারা দারিদ্র্যসীমার মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। এতে দারিদ্র্য বাড়ছে। এ অবস্থা বেশি দিন চললে মানুষের শ্রেণিগত কাঠামোতে পরিবর্তন চলে আসবে। মধ্যবিত্তের আয় কমে তারা চলে যাবে নিম্ন মধ্যবিত্তে। নিম্নবিত্ত আরও নিচের স্তরে যাবে। অর্থনৈতিক সূচকগুলোর প্রতি দেশি ও বৈশ্বিকভাবে আস্থার ঘাটতি দেখা দেবে। যার নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী গাজীপুরে অবস্থিত দ্য সিকিউরিটিজ প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড বছরজুড়েই টাকা ছাপানোর কাজটি করে। ছাপানো টাকা প্রথমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে (টাকা জমা রাখার সুরক্ষিত স্থান) জমা রাখা হয়। ভল্টে থাকা অবস্থায় একে বলে ‘জড়বস্তু বা নন লাইভ’ টাকা। চাহিদা বাড়লে ছাপানো টাকা থেকে বাজারে ছাড়া হয়। ছাপানো টাকা বাজারে এলেই একে বলা হয় ‘লাইভ বা জীবন্ত’। অর্থাৎ, ছাপানো টাকা ভল্টে থাকলে মূল্যহীন কাগজ এবং বাজারে এলে মূল্যমান মুদ্রা। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে স্পষ্ট অর্থনীতির চাপ

ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো নেই। ডলার সংকটে আমদানি এখন নিয়ন্ত্রিত, রপ্তানিতে শ্লথগতি, রেমিট্যান্স প্রবাহেও ভাটার টান চলছে। দুর্বল মুদ্রানীতি ও খেলাপি ঋণের ভারে বিশৃঙ্খলা চলছে আর্থিক খাতে, পুঁজিবাজারেও চলছে মন্দা। অন্যদিকে জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ভোগ কমিয়ে দিয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা, এতে কমে যাচ্ছে চাহিদা। বিনিয়োগে স্থবিরতায় কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে দেশের অর্থনীতি। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনীতির দুরবস্থার চিত্রই তুলে ধরল বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছর (২০২৩-২৪) বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাস সরকারনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বিশ্বব্যাংক আভাস দিচ্ছে, এই অর্থবছরে সরকারনির্ধারিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। বিশ্লেষকেরাও মনে করেন, বিশ্বব্যাংকের এমন পূর্বাভাস যৌক্তিক। কারণ, অর্থনৈতিক সূচকগুলোর গতিপ্রকৃতি এখন বেশ নড়বড়েই বলা যায়। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্যে ১২ শতাংশের বেশিই

সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশে।যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যা আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কম হলেও ১২ শতাংশের নীচে নামেনি। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির এমন চিত্র উঠে এসেছে। যদিও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে প্রায় ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গড়ে মূল্যস্ফীতি রয়েছে প্রায় দশের কাছাকাছি। সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল, এ বছরের সেপ্টেম্বরে তা কিনতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৬৯ পয়সায়। আবার গত বছর একই সময়ে যে খাবার কিনতে হয়েছিল ১০০ টাকায় এ বছর সেপ্টেম্বরে তা কিনতে হয়েছে ১১২ টাকা ৩৭ পয়সায়। সূত্র: বণিক বার্তা।

‘কেউ নিষেধাজ্ঞা দেবে না, তলে তলে আপস হয়ে গেছে’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ঘিরে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘কেউ নিষেধাজ্ঞা দেবে না, তলে তলে আপস হয়ে গেছে : সেতুমন্ত্রী’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আমিনবাজারে অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মন্ত্রী বলেছেন,‘কোথায় নিষেধাজ্ঞা? কোথায় ভিসানীতি? তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরা আছি। শত্রুতা কারো সঙ্গে নেই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, এমন ভারসাম্য সবার সঙ্গে করে ফেলেছেন, আর কোনো চিন্তা নেই। নির্বাচন হবে, যথাসময়ে হবে।’ তিনি বলেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

৮ ব্যাংকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি ঘাটতি ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা

সুবিধা আর ছাড় দেওয়ার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে সমানতালে বাড়ছে প্রভিশন ঘাটতি বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি। এবারও প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে দেশের আট ব্যাংক। চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে আট ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। মার্চ শেষে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। ঘাটতিতে পড়া ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে তিনটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক। গত জুন শেষে সরকারি তিনটি ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রাখায় এসব ব্যাংকের সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকায়। সূত্র: িইত্তেফাক

ভোটের আগে পুলিশে পদোন্নতির ‘লড়াই’
বাড়ছে ক্ষোভ-হতাশা

যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত পদোন্নতি মিলছে না বলে নানা স্তরের পুলিশের মধ্যে দাবি উঠেছে। এতে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হচ্ছে। এই পদোন্নতির জন্য রীতিমতো ‘লড়াই’ শুরু হয়েছে। পদোন্নতিপ্রত্যাশীরা ব্যাচ ধরে পুলিশপ্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করছেন, তাদের দাবির কথা জানাচ্ছেন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও প্রয়োজনীয় পদোন্নতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা চাচ্ছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই তাদের পদোন্নতির দাবি পূরণ করে নিতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পুলিশ সদর দপ্তরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েক মাসে অতিরিক্ত আইজিপির দুটি পদসহ ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার পদে মোট ৩৪২টি পদ সৃষ্টির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তবে এতেও ক্ষোভ ও হতাশা কমেনি কর্মকর্তাদের মধ্যে। সূত্র: কালবেলা।

প্লাস্টিক ধ্বংসকারী সুপার এনজাইমের খোঁজ মিলল
মাত্র ১৬ ঘণ্টায় প্লাস্টিকের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ধ্বংস করতে পারে এমন একটি এনজাইমের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকেরা। জার্মানির লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই এনজাইম খুঁজে পান। লাইপশিসের অন্যতম প্রধান এক কবরস্থানের কম্পোস্টের স্তূপে এই এনজাইম খুঁজে পান তারা। লাইপশিস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট ক্রিস্টিয়ান জনেনডেকারের দল বিশ্বাস করে, প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানের মূল চাবিকাঠি হতে পারে বায়োটেকনোলজি। ক্রিস্টিয়ান জনেনডেকার বলেন, প্রকৃতি কীভাবে কাজ করে সেটা আমরা দেখে তা কপি করেছি। প্রকৃতি এনজাইম ব্যবহার করে পলিমার ধ্বংস করে। আমরাও সেটাই করছি। সূত্র: সমকাল