অর্থপাচারের অভিযোগ: ড. ইউনূসকে দুদকে তলব
অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। ৪ ও ৫ অক্টোবর তাদের জিজ্ঞাবাসাবাদ করবে কমিশন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ সংক্রন্ত চিঠি ইস্যু করা হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৫ অক্টোবর ড. ইউনূসকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।


জানা গেছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ২০২২ সালের ২৩ জুলাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের জন্য দুদকে চিঠি দেয়।
১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ কতরা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চেয়েছে চিঠিতে।
ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা করেন শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করলে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন শ্রমিকরা। এর পর মামলার রফা-দফার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গত ১৪ জুলাই ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে আবেদনে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি।