আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৩

কী হচ্ছে এই অক্টোবরে
টানা কর্মসূচিতে সরকারকে পাহারায় আওয়ামী লীগ
এক পক্ষ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভোটের প্রচারণায়, অন্য পক্ষে কঠোর আন্দোলনের চিন্তা

অক্টোবর মাসকে রাজনীতিতে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই মাসটাই দেশের রাজনীতিতে গতিপথ ঠিক করে দেবে। কারণ আগামী নভেম্বরে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে জানুয়ারিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মাঝখানে অক্টোবর মাসই দুই রাজনৈতিক দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বলছে, কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ মাসেই সরকারের পতন ঘটানো হবে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা রাজপথে সক্রিয় থেকে সরকারকে পাহারা দেবে। এ জন্য মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। সরকারবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত রুখে দিতে গোটা অক্টোবর মাসজুড়েই রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশকে জনসভায় রূপ দেবে আওয়ামী লীগ। অক্টোবরে সরকার পতন ঘটাতে বিএনপির মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত রবিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যারা আমাদের পতন দেখছে, এই অক্টোবরে তাদেরই পতন হয় কি না? সূত্র: বিডি প্রতিদিন্

ঋণপত্র খুলতে জটিলতা
ডলার–সংকট কাটছে না, বাড়ছে ব্যবসার খরচ
দুই সপ্তাহের কমে কেউ-ই ঋণপত্র খুলতে পারছে না। আবার ঋণপত্র খুলতে নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে ডলারপ্রতি ৫-৬ টাকা।

গাজীপুরে ২০০৫ সালে টাইলসের কারখানা করে গ্রেটওয়াল সিরামিক। এই কারখানার উৎপাদনক্ষমতা দিনে ৫৫ হাজার বর্গমিটার। টাইলসের কারখানা ছাড়াও হবিগঞ্জে কোম্পানিটির চারু সিরামিক নামে স্যানিটারিওয়্যারেরও কারখানা রয়েছে। টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র বা এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। একেকটি ঋণপত্র খুলতেই তাদের দু-তিন সপ্তাহের বেশি লাগছে। ফলে মাঝেমধ্যেই কাঁচামাল–সংকটে পড়তে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। গ্রেটওয়াল সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামসুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী ডলার ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে না। যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় ডলার কিনতে হচ্ছে। ডলারের পাশাপাশি গ্যাস–সংকটও রয়েছে। তাই সক্ষমতার চেয়ে ২৫ শতাংশ কম উৎপাদন করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কত দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, সেটা কেউ ধারণা করতে পারছেন না। তাই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গ্রহণেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ সূত্র: প্রথম আলো

প্রায় দুই বছরে রেলে কাটা পড়ে ৫২২ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা জোনের বিভিন্ন রেললাইন থেকে প্রায় দুই বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৫২২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। এই হিসাবে ওই সময়ে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
অপরাধ বিশ্লেষকরা এসব মৃত্যুর জন্য পথচারীদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন। এর সঙ্গে আছে রেলপথে যথাযথ নিরাপত্তার অভাব। পুলিশের তদন্তেও এসব মৃত্যুর পেছনে আইন না মেনে চলা ও অসচেতনতার বিষয়টি উঠে এসেছে। বিশ্লেষকরা এসব দুর্ঘটনা রোধে রেলবিষয়ক আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করেছেন। সূত্র: কারের কণ্ঠ

Nagad

নিয়ন্ত্রণের বাইরে খেলাপি ঋণ
বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার জরুরি
খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে হবে -ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম * বিদেশে সব কেড়ে নেওয়া হয়, এখানে সুযোগ পাচ্ছেন -ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ * প্রকৃত খেলাপি সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার কম না -ড. মইনুল ইসলাম * সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সময় এসেছে -ড. জাহিদ হোসেন

ব্যাংক খাতে নিয়ন্ত্রণহীন খেলাপি ঋণের লাগাম কোনোভাবেই টেনে ধরা যাচ্ছে না। তাদের বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও আসছে না কোনো সুফল। আগের ঋণ তো পরিশোধ করছেই না, বরং বিদ্যমান আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে নতুন ঋণ বের করে নিচ্ছেন খেলাপিরা। সরকারের সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে খেলাপির খাতা থেকে নাম মুছে ফেলেন তারা।কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাগিয়ে নেন নগদ সহায়তা। থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। নানা উপায়ে তাদের ওপর অকার্যকর থাকে বিদ্যমান সব আইন, বিধিবিধান ও নির্দেশনা। আর এসব কারণেই এ মুহূর্তে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যদিও কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের মতে, প্রকৃত খেলাপির অঙ্ক সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার কম হবে না। কারণ ঋণ পুনঃতফশিল, পুনর্গঠন, অবলোপন ও আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া ঋণের হিসাব বর্তমান খেলাপির অঙ্কে দেখানো হয় না। সূত্র: যুগান্তর

ডলারের সব উৎসে ভাটা

বিদেশি ঋণের ছাড়, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই, রপ্তানি কিংবা প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স)– কোনো উৎস থেকেই নেই সুখবর। ডলারের সব উৎসে চলছে ভাটার টান। অন্যদিকে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হচ্ছে আগের চেয়ে ঢের। এ ঋণে সুদের হারও এখন বেশি। একে তো ডলার আসছে কম, আবার পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি। এ দ্বিমুখী পরিস্থিতি রিজার্ভ সংকটের চাপকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পদ্ধতিতে এ হিসাব করা হয়েছে। বিদেশি ঋণের ছাড় কমেছে, বেড়েছে পরিশোধ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডির হিসাব অনুযায়ী, এ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলে পরিশোধ করতে হয়েছে ৪০ কোটি ডলার, যা আগের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের পরিমাণ ৪ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। সূত্র: সমকাল

এক বছরে গরু-ছাগল জবাই কমেছে ৬৬ লাখ
উচ্চমূল্যের কারণে দেশে মাংস খাওয়া কমেছে

উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছে দেশের মানুষ। খরচ মেটাতে খাদ্যতালিকায় করতে হচ্ছে ব্যাপক কাটছাঁট। উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তের তালিকায় প্রায়ই গরু, খাসি, মহিষসহ বিভিন্ন গবাদিপশুর মাংস থাকলেও এখন তা কমিয়ে আনা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে মাংসের দামও বেড়ে যাওয়ায় আমিষের চাহিদা মেটাতে মানুষ বিকল্প খাবারে ঝুঁকছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, কোরবানি বাদে এক বছরের ব্যবধানে এ বছর গরু-ছাগল জবাই উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। পশু খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা থাকায় কোরবানিতে দেশে পশু জবাই কমেনি। তবে অন্যান্য খাদ্যপণ্যের সঙ্গে জীবনধারণের সার্বিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। দেশে গবাদিপশুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জবাই হয় গরু ও ছাগল। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে কেবল এ দুই পশু জবাই কমেছে প্রায় ৬৬ লাখ। সূত্র: বণিক বার্ত।

নীতির ভুলে আরও ঝুঁকিতে রিজার্ভ

রপ্তানি আয়ে খরা চলছে। রেমিট্যান্সেও একই হাল। দেশে ডলার আসার প্রধান এই দুটি পথ সংকীর্ণ হওয়ায় টান পড়েছে রিজার্ভে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর উচিত ছিল প্রবাসী কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়িয়ে রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করা। কিন্তু তা না করে উল্টো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সহজে ডলার কেনার জন্য বসে থাকছে তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ডলার সরবরাহ করে যাচ্ছে তাদের। এতে ঝুঁকি বাড়ছে রিজার্ভে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত বলছে, গত তিন মাসে রিজার্ভ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ গতকালও বিক্রি করেছে ৮০ মিলিয়ন ডলার। ফলে আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ ২১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। সবকিছু যেভাবে চলছে, তাতে ডলারের সংকট শিগগির কাটার কোনো লক্ষণ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রিজার্ভ কমছে, তবু ডলার বিক্রি করার মানে হয় না।এসব বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে বৈধ পথে রিজার্ভ বাড়াতে হবে। এসব অল্প সময়ে হবে না। অন্তত কয়েক মাস লাগবে। তার মানে রিজার্ভ খরচ কমাতে না পারলে সামনে ঘাটতি বাড়বে।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা ।

শঙ্কায় শিশুর ভবিষ্যৎ

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ আগস্ট ৯ বছরের শিশু আরাফাতের মৃত্যু হয়। সপ্তাহ না যেতেই ২৫ আগস্ট মারা যায় আরাফাতের ছোট বোন ৬ বছরের রাইদা। রাজধানীর মধ্যপাইকপাড়ার ছাপাখানা মোড়ের একটি বাসায় দুই সন্তান আরাফাত ও রাইদাকে নিয়ে থাকতেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও রাবেয়া আক্তার দম্পতি। সন্তানদের মৃত্যুর পর জীবনটাই বদলে গেছে তাদের। তছনছ হয়ে গেছে সাজানো সংসার। ইব্রাহিম ও রাবেয়া দম্পতির মতো বহু পরিবার এবার সর্বস্বান্ত হয়েছে ডেঙ্গুজ¦রের থাবায়। সন্তান হারানো এমন বাবা-মায়েরা পাগলপ্রায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে শূন্য থেকে ২০ বছর বয়সী ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮৬ এবং নারী ৯১ জন। এবার শুধু শহর নয়, গ্রামেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। সেখানেও মারা গেছে অনেক শিশু। এ বছর ডেঙ্গুতে শিশুমৃত্যু নিয়মিত ঘটনা হয়ে দেখা দিয়েছে। এই রোগে এত শিশুর মৃত্যু আগে কখনো হয়নি।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ বছর শূন্য থেকে ২০ বছর বয়সীরা আক্রান্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ৯১৯ জন; যা মোট আক্রান্তের ৩২ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ২৩ হাজার ৬১৭ এবং পুরুষ ৪০ হাজার ৩০২ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তথ্য বলছে, ডেঙ্গুতে শিশুদের আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার কম। সূত্র: দেশ রুপান্তর

‘ভিসা নীতিতে উদ্বিগ্ন সরকারি কর্মকর্তারা: অনেকের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে পশ্চিমা দেশে’

ভিসানীতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘ভিসানীতিতে উদ্বিগ্ন সরকারি কর্মকর্তারা: অনেকের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোতে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সরকারি দফতরগুলোয়। এ বিষয়ে কর্মকর্তারা ভেতরে ভেতরে কথা বললেও কেউ সামনা সামনি কথা বলছেন না। নিজেদের নিরাপদ রাখতে ভিসানীতির পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো দিকেই যাচ্ছেন না বেশির ভাগ কর্মকর্তা। যেসব কর্মকর্তা কিছুদিন আগেও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কথা বলেছেন তারাও ভিসানীতির পর নীরবতা পালন করছেন। এ বিষয়ে কথা উঠলেই তাদের চেহারায় ফুটে উঠছে উদ্বেগের ছাপ।বর্তমানে যেসব জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্বে রয়েছেন তারাই বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ তারাই রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা ্

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন
রাজনীতির বাইরে গরম ভেতরে গুমোটভাব

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে সরব বিভিন্ন দল ও জোট। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনে আছে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা। বিপরীতে মাঠ দখলে রাখতে পাল্টা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি চলছে নিয়মিত সাংগঠনিক তৎপরতাও। সেইসঙ্গে নানা ইস্যুতে উত্তপ্ত বাগযুদ্ধ তো আছেই। সব মিলিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে গরম হাওয়া দৃশ্যমান। তা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি নানা প্রেক্ষাপটে ভেতরে ভেতরে রাজনীতিতে এক ধরনের গুমোট পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দাবি পূরণ না হলে দেশে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে তারা। সূত্র: কালবেলা