‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয়’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৩

ফাইল ছবি

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে। কাজেই সেখানে আমাদের আর কিছু করণীয় নেই-বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ।

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার ছোটভাই যে আবেদন করেছিলেন সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সে আবেদন পাওয়ার পর পর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি তাদের মতামতের জন্য। কারণ, এ বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।

এ সময় সাংবাদিকদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও দেন মন্ত্রী। আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া মতামতের সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়ার পরিবারকে জানানো হবে কিনা জানতে চাইলে কামাল বলেন, ‘উনারা যদি জানতে চান আমরা অবশ্যই জানিয়ে দেব। তবে এরই মধ্যে উনি (শামীম ইস্কান্দার) জেনে গেছেন। তাদের কোনো কিছু জানার থাকলে, কথা বলতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেটা সেটা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। ’

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত দিয়ে আবেদনটি আবার আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত খালেদা জিয়ার পক্ষে আসেনি। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। কাজেই এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই বলে আমি মনে করছি।

‘এটি আইনগত নয় বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’— বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্টে তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে না। একটি অঘটন ঘটলে তার বিচার হয়… আপনারা সবসময় এমনটা দেখে আসছেন। আমাদের আইন ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আপনারা যেটা ইঙ্গিত করছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে মতামত দেওয়া হয়েছে, সেটি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই।

Nagad

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দী হন তিনি। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সবশেষ ১২ সেপ্টেম্বর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।