আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

সাপ্তাহিক পর্যালোচনা
কারসাজির শেয়ারই এখন মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে

এক সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা খাতের লেনদেনের ওপর ভর করেই মূলত গত সপ্তাহে বাজারের সার্বিক লেনদেন বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনের বড় অংশই ছিল এই খাতের।ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে আবারও ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে আটকে ছিল। সপ্তাহ শেষে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৬টি। লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৩টির। সূত্র: প্রথম আলো

বৃত্তাকার নৌপথ প্রকল্প
পাঁচ নদী এক পথে আনতে শত বাধা

নদীমাতৃক দেশে শুধু রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করেই রয়েছে পাঁচটি বড় নদী। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা ও বালু—এই পাঁচটি নদীর সঙ্গে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী নদীবন্দরকে যুক্ত করতে চায় সরকার। এর জন্য ২০১৫ সালে তিন পর্যায়ের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ নদী ও তিন নদীবন্দরকে এক নৌপথে এখনো আনা যায়নি। মূলত স্থানীয় রাজনৈতিক বাধা, মামলা জটিলতা, বিভিন্ন জায়গায় নিচু সেতু ও অর্থায়ন সংকটে প্রকল্পের কাজ গতি পাচ্ছে না। এ অবস্থায় আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌ দিবস। দিনটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘নদীর পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা’। সূত্র: কালের কণ্ঠ

যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদ সম্মেলন ও নাগরিক সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা
ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয়ের কিছু নেই
♦ আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে ♦ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশি হস্তক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না ♦ ভোট বানচালের চেষ্টাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ♦ পুতুলের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা নেই, ছেলেমেয়েকে এনে চেয়ারে বসাব এটা আমি বিশ্বাস করি না ♦ বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে আমার কিছু বলার নেই। তবে আওয়ামী লীগ কারও শক্তির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসেনি। আমি জনগণের শক্তি এবং তাদের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। তিনি বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দেবে বা দেবে না তা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। যারা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, বিরোধী দলসহ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এটা ভালো হবে। কারণ বিএনপি জোট ২০১৩-১৪ সালের মতো নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে কোনো অগ্নিসংযোগ করতে পারবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যে দেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তারা উভয় পক্ষ থেকে বা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি বিবেচনা করবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগে তোলপাড় সর্বত্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু করায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সর্বত্র। এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয়। অভিজ্ঞ মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভিসানীতির আলোচনা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র যদিও ভিসা নিষেধাজ্ঞা কাদের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে তার কোনো নাম প্রকাশ করেনি। তবে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ছিল, এখন পর্যন্ত কারা এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন।আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ভিসানীতির ফলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, তারা নির্বাচন প্রতিহত করার লক্ষ্যে সহিংসতা চালালে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। অপরদিকে, বিএনপি নেতারা মনে করেন, ভিসানীতির কারণে ক্ষমতাসীনরা চাপে পড়বে।কেননা আওয়ামী লীগের নেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের অংশ অনেকেই এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বেন। তবে অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি নির্বিশেষে বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি কোনো সুখবর নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরাট বাণিজ্য সম্পর্ক, বিনিয়োগ এবং রেমিট্যান্স ঘিরে সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এই দেশটি থেকে এমন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক নয়।অভ্যন্তরীণ সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট সংকট নিরসন করা গেলে এমন নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যেত বলে অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা মনে করেন। সূত্র: যুগান্তর

বিশ্ব নদী দিবস আজ
আন্তঃসীমান্ত ৬৯ নদীর স্বীকৃতি মেলেনি

ভারত থেকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজারহাটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে ১৯টি আন্তঃসীমান্ত নদী। তবে ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন ৫৪ নদীর তালিকায় উত্তরাঞ্চলে শুধু ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও জিঞ্জিরামের নাম আছে। তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৪ নদী। শুধু কুড়িগ্রাম নয়, সারাদেশে এমন ৬৯টি নদী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) তালিকায় নেই। এসব নদীর স্বীকৃতিও নেই। নদী, জলাভূমি ও পানিসম্পদবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিভারাইন পিপলের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ গবেষণা এখনও চলছে। সংগঠনটি এখন পর্যন্ত ৬৯টি নদীর খোঁজ পেয়েছে। যেগুলো ১৯৭২ সালে স্বীকৃতি পাওয়া নদী তালিকার বাইরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তঃসীমান্ত প্রতিটি নদনদীর স্বীকৃতি এবং যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা নদী ও জীবনের স্বার্থে অপরিহার্য। স্বীকৃতি না পেলে বাদ পড়া নদীর হিস্যা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। আন্তঃসীমান্ত নদনদীতে অভিন্ন অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এর প্রকৃত সংখ্যা জানা জরুরি। সূত্র: সমকাল

চশমা-লেন্সের দামে ও মানে অরাজকতা

দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ব্যবহৃত চশমা ও লেন্সের ব্যবসায় দেশে অরাজকতা চলছে। চশমা, লেন্স ও সানগ্লাসের মান ও দামে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ নিয়ে মানুষ প্রায়ই প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ আছে। রিফ্রাক্টোমিটার বা প্রতিসরাঙ্ক মাপার যন্ত্রের সঠিকতাও যাচাই করা হচ্ছে না। এতে মানুষের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি চোখের জটিলতাও বাড়ছে।
দৃষ্টিশক্তি পরিমাপ করাতে কিংবা চশমা বদলাতে গিয়ে জটিলতায় পড়ার অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানার আবদুল হাদি লেনের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন চোখের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শে চশমা ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি তিনি চশমা পরিবর্তন করতে পুরান ঢাকার একটি দোকানে যান। সেই দোকানি চশমায় দুই চোখের জন্য দুই ধরনের মাত্রার লেন্সসংবলিত কাঁচ দেন। কামাল হোসেন জানান, এতে তাঁর চোখে সমস্যা হচ্ছিল। পরে তিনি পাটুয়াটুলীর একজন দক্ষ কারিগরের কাছে গেলে তিনি পরীক্ষা করে সমস্যা দেখেন, দুই চোখের জন্য ভিন্ন মাত্রার লেন্স দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল। সূত্র; আজকের পত্রিকা

দেরিতে আয়কর রিটার্ন জমা
জরিমানা দ্বিগুণ ও কর অব্যাহতিসুবিধা প্রত্যাহার

স্বতন্ত্র করদাতারা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় পাচ্ছেন ১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে জরিমানা দ্বিগুণ ও কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বতন্ত্র করদাতাদের কর রিটার্ন দাখিলের সময় ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিলে করদাতারা যোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের ওপর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। যদি কোনো করদাতা জাতীয় আয়কর দিবসের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হন, তবে প্রকৃত কর দায় গণনা করার আগে বিনিয়োগের ছাড়ের পরিমাণ অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। সূত্র: ইত্তেফাক

বোরো মৌসুমের চাহিদা মেটাতে গ্যাস, অর্থ সংকটেও ইউরিয়া কারখানা খোলার চাপে সরকার

বোরো মৌসুমের চাহিদা মেটাতে গ্যাস, অর্থ সংকটেও ইউরিয়া কারখানা খোলার চাপে সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু যাওয়া বোরো মৌসুমে ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি সার কারখানায় বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ আছে, অন্যদিকে ডলার সংকটের কারণে আমদানির মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা।
এ অবস্থায় সংকট এড়াতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) অবিলম্বে এই তিনটির মধ্যে দুটি কারখানায় উৎপাদন চালু করতে চায়। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধও করেছে। বিসিআইসির অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিসিআইসির অধীন চারটি সার কারখানা-ই পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে সক্ষম, এরমধ্যে তিনটি কারখানা বন্ধ থাকায় চলতি বছর স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ মে. টন ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারখানা বন্ধ রাখায় উৎপাদনে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে।এই অবস্থায়, দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিআইসি। কিন্তু, চলমান ডলার সংকটের মধ্যে এ পরিমাণ আমদানি করা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। বিশেষত, বোরোর পিক সিজন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে যদি এ আমদানি হয়।বাংলাদেশের চাল উৎপাদনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বোরো মৌসুম। এসময় প্রায় ২.২৫ কোটি টন চালের উৎপাদন হয়। তাই এসময়ে ধান চাষে যেকোনো ধরনের সমস্যা– দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

‘মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগে তোলপাড় সর্বত্র’

‘মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগে তোলপাড় সর্বত্র’ – এটি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম। এ খবরে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ খবরে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু করায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সর্বত্র। অভিজ্ঞ মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভিসা নীতির আলোচনা ছিল।আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ভিসা নীতির ফলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, তারা নির্বাচন প্রতিহত করার লক্ষ্যে সহিংসতা চালালে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। অপরদিকে, বিএনপি নেতারা মনে করেন, ভিসা নীতির কারণে ক্ষমতাসীনরা চাপে পড়বে। দৈনিক সমকালে এ সম্পর্কিত খবরের শিরোনাম হলো-‘প্রশ্ন অনেক, উত্তর খুঁজছে সবাই’, খবরে বলা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন পর্যায়ে নানা ধরণের বিশ্লেষণ চলছে। কারা কারা এ তালিকায় আছেন কিংবা কোন সুনির্দিষ্ট কারণ আছে কি-না বা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের পরিবারের সদস্যদের কী হবে বা আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে কি-না এ নিয়েই চলছে আলোচনা। ভিসা নীতি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইন্সটিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের একটি প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। মি. কুগেলম্যান সামাজিক মাধ্যম এক্স -এ প্রতিক্রিয়াটি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন ভিসা বিধি-নিষেধ বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে কি-না তা নিয়ে তার সন্দেহ আছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

বোরো মৌসুমের চাহিদা মেটাতে গ্যাস, অর্থ সংকটেও ইউরিয়া কারখানা খোলার চাপে সরকার

আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু যাওয়া বোরো মৌসুমে ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি সার কারখানায় বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ আছে, অন্যদিকে ডলার সংকটের কারণে আমদানির মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় সংকট এড়াতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) অবিলম্বে এই তিনটির মধ্যে দুটি কারখানায় উৎপাদন চালু করতে চায়। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধও করেছে। বিসিআইসির অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিসিআইসির অধীন চারটি সার কারখানা-ই পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে সক্ষম, এরমধ্যে তিনটি কারখানা বন্ধ থাকায় চলতি বছর স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ মে. টন ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারখানা বন্ধ রাখায় উৎপাদনে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায়, দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিআইসি। কিন্তু, চলমান ডলার সংকটের মধ্যে এ পরিমাণ আমদানি করা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। বিশেষত, বোরোর পিক সিজন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে যদি এ আমদানি হয়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।