আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩

মেক্সিকোয় ১৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে হত্যায় ১১ পুলিশ জড়িত

যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে ১৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে মেক্সিকো পুলিশের ১১ সাবেক কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর একটি আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে মেক্সিকোর সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় জানিয়েছে, ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার ও ১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মেক্সিকোর তামাউলিপাস প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে গুয়াতেমালার ১৬ ও হন্ডুরাসের ১ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে হত্যা করা হয়।পরে তাঁদের মরদেহগুলো একটি ট্রাকে পোড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ১২ পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে তাঁদের একজন তদন্তে সহযোগিতা করায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ কিছুটা শিথিল করা হয়। সূত্র: প্রথমআলো

দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়
নওয়াজসহ শীর্ষ নেতারা বিপদে

পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের গতকাল শুক্রবারের এক রায় প্রভাবশালী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তের দুয়ার খুলে দিয়েছে। ওই রায়ে দুর্নীতিবিরোধী আইনের সব সংশোধনী বাতিল করেন শীর্ষ আদালত। এর মধ্য দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, ইউসুফ রাজা গিলানিসহ অনেকেই তদন্তের মুখে পড়বেন।পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বছর আদালতে দুর্নীতিবিরোধী আইনের সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করেন।প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গতকাল ২-১ ব্যবধানে এর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। অবসরে যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ঘোষিত এই রায়ে সংশোধনীর কারণে বন্ধ হওয়া দুর্নীতি মামলা সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের ফলে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগেরও বিচারের পথ প্রশস্ত হলো। পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম তদারককারী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিবিসিকে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
অকল্পনীয় দৃশ্য ছিল মৃত্যুর চেয়ে ভয়ংকর

রাত প্রায় আড়াইটা এবং বাইরে অন্ধকার। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডেরনার ৩১ বছর বয়সী হিসাবরক্ষক হুসাম আব্দেলগাউই কুকুরের ডাকে জেগে ওঠেন ও ঘুম চোখেই নিচে নেমে দেখেন তার পায়ের নিচে পানি। একই ঘরের এক অংশে হুসাম এবং অন্য অংশে তার ছোট ভাই ইব্রাহিম থাকেন। তিনি সামনের ঘরের দরজা খোলা মাত্রই হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ে বন্যার পানি। দুই ভাই দৌড়ে ঘরের পেছনের দিকে যান। সেখানে গিয়ে তারা অবিশ্বাস্য পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, যা তাদের কাছে ছিল ‘মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ’। আল কুব্বাহ শহর থেকে ফোনে এভাবেই বিবিসিকে পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। হোসাম বিবিসিকে বলেন, শিশু ও নারীদের মৃতদেহ পানিতে ভাসছিল। গাড়ি ও বাড়ির আসবাবপত্র পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল। অনেক লাশ আমাদের ওপর দিয়ে ভেসে যায়। এটি ছিল বন্যার ভয়াবহ দৃশ্য।বন্যার পানি হোসাম ও ইব্রাহিমকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তীব্র স্রোতে তাদের অনেক দূরে নিয়ে যায়। তারা ভাবতেও পারেননি এতদূর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫০ মিটার দূরে চলে যান। ২৮ বছর বয়সী ইব্রাহিম ভেসে যাওয়ার সময় অনেক কিছু ধরার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ধরে দাঁড়াতে পারেনি। কারণ সব কিছুই ভেসে যাচ্ছিল। তারা দুই ভাই সামনের ভবনের দিকে যাওয়ার জন্য একটি তার ব্যবহার করেছিলেন। তাদের ভবনের তিনতলার জানালা দিয়ে আরেক ভবনের পাঁচতলার ছাদের ওপরে যান। যাতে তারা সেখানে অপেক্ষা করতে পারেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

Nagad

মিয়ানমারের কুখ্যাত থায়ারওয়াদ্দি কারাগার
নাম শুনলেই গায়ে কাঁটা
আড়াই বছরে ২৪ হাজারের বেশি কয়েদি। প্রতিদিনই মারতে মারতে রক্তাক্ত করা হয় বন্দিদের * বন্দিদশায় পায়ে রড বেঁধে কারাগারের চারপাশে পাঁচবার দৌড়াতে বাধ্য করা হয়

থায়ারওয়াদ্দি কারাগার। রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য এক নরকের নাম। যার নাম শুনলেই আঁতকে ওঠে মিয়ানমার। গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। ব্রিটিশ শোষণের শেষ নিদর্শন এ ‘জল্লাদখানাটি’ বাগো প্রদেশের উত্তরে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নিত্যনতুন নির্যাতনে কুখ্যাত কারাগারটি মিয়ানমার শাসকদের প্রায় এক শতাব্দীর নিপীড়নের প্রতীক। যেখানে পা রাখলেই রক্তাক্ত হতে হয় বন্দিদের। মাত্রাতিরিক্ত জুলুমে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে অনেক বেশি। বর্বর অত্যাচারের শিকার হন নারীরাও। মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সু চি নেতৃত্বাধীনের এনএলডি সরকারের পতনের পর থেকে কয়েদি আরও বেড়েছে। কপালজোরে কেউ ছাড়া পেয়েছেন কয়েক মাস পরই। কেউ ভুগছেন মাসের পর মাস। সম্প্রতি দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে সদ্য মুক্তি পাওয়া সেসব এনএলডির সাবেক রাজনৈতিক বন্দিদের জীবনদশা উঠে এসেছে। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য সান তুনসহ অনেককেই বন্দি করা হয় ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারে। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় কাটানোর পর হঠাৎই আসে তাদের কারা বদলির খবর। ১৫০ জন রাজনৈতিক বন্দিকে স্থানান্তর করা হয় এই কারাগারে। পায়ে শিকল বেঁধে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। শোচনীয় হয়ে ওঠে তাদের অস্তিত্ব। প্রায় ৪০ জন কারা কর্মকর্তা, যাদের প্রত্যেকের হাতে লাঠি ছিল। মাথা নিচু করে যেতে বলা হয় বন্দিদের। যেতে যেতে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। এ অগ্নিপরীক্ষার পর কারাগারের প্রধান কার্যালয়ের দিকে শিকল বাঁধা পায়ে ২০০ মিটার দৌড়াতে বলা হয়। পুরো সময় মাথা নিচু করে সব মেনে নিতে হয়েছে বলে জানান সান তুন। প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর প্রখর সূর্যের নিচে ধুলামাটিতে বসতে বাধ্য করা হয়। সঠিকভাবে বসতে ব্যর্থ হলে আবারও নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সূত: যুগান্তর

বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য

চলতি বছর থেকে বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য। যার ফলে এবারের বিজয়ীরা গতবারের চেয়ে ৮৯ হাজার মার্কিন ডলার (১০ লাখ সুইডিস ক্রোনা) বেশি পাবেন। শুক্রবার নোবেল ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিকে এ তথ্য জানায়। খবর রয়টার্সের। নোবেল ফাউন্ডেশন জানায়, আর্থিক অবস্থান অনেক ভালো হওয়ায় পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়ানো হলো। এতে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হবে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ডলার। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় একাধিকবার নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়ানো-কমানো হয়েছে। ২০১২ সালে পুরস্কারের অর্থমূল্য ৮ লাখ ৯৭ হাজার ডলার থেকে ৭ লাখ ১৭ হাজার ডলার করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে তা বাড়িয়ে ৮ লাখ এবং ২০২০ সালে বাড়িয়ে ৮ লাখ ৯৭ হাজার ডলার করা হয়।অবশ্য গত এক দশকে ইউরোর বিপরীতে প্রায় ৩০ শতাংশ দরপতন হয়েছে সুইডিশ ক্রোনার। এর ফলে, পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়ালেই সুইডেনের বাইরে বসবাসকারী নোবেল বিজয়ীরা খুব বেশি ধনী হয়ে উঠবেন, তা বলা যাবে না। সূত্র: সমকাল

লিবিয়ার বিপর্যয় মানবসৃষ্ট!

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেরনা শহরে ভয়াবহ বন্যায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উপকূলীয় শহর দেরনার উপকূলে ভেসে যাওয়া মরদেহ উদ্ধারে এখন চলছে অভিযান। যত সময় যাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে, সৈকতেও ভেসে আসছে ঢলে ভেসে যাওয়া মানুষের লাশ। লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল-পরবর্তী বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেরনা শহরে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে মূলত দেরনা নদীর দুটি বাঁধ ভেঙে, সেগুলোর পানি নিচে গড়িয়ে শহরে চলে আসায়। বাঁধভাঙা পানি যখন শহরে প্রবেশ করে তখন সেখানে সুনামির মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পানির ধাক্কায় খড়কুটোর মতো ভেসে যায় বাড়ি-গাড়ি-মানুষ। দেরনার মেয়র জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্ণনাতীত এ বন্যায় শহরটির একটি অংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে লিবীয় অঞ্চলের এ বিপর্যয়কর পরিণতির জন্য পুরোপুরি জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা যাচ্ছে না। ওই প্রলয় থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ, লিবিয়ার সচেতন মহল বাঁধ ভেঙে বিপুল প্রাণহানির জন্য দুর্নীতি, অবহেলাকে দায়ী করছে। বিশেষজ্ঞরাও লিবিয়া বিপর্যয়ের পেছনে মানবসৃষ্ট কারণ দেখছেন। তারা বলছেন, দুর্নীতি, সরকারি অবকাঠামোগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করা এবং কয়েক বছরের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের মতো বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য নিজেদের প্রস্তুতই করতে পারেনি লিবিয়া। সূত্র: দেশ রুপান্তর

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাডার চিপ বানানোর দাবি চীনের

চীনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাঁরা এমন এক শক্তিশালী রাডার চিপ আবিষ্কার করেছেন যা বিশ্বের অন্য যেকোনো রাডার চিপের চেয়ে শক্তিশালী। চীনের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখেও দেশটি এমন আবিষ্কারের দাবি করল। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পিয়ার রিভিউড জার্নাল রিসার্চ অ্যান্ড প্রোগ্রেস অব সলিড-স্টেট ইলেকট্রনিকসে প্রকাশিত নিবন্ধে চীনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাদের আবিষ্কৃত চিপটি এমন শক্তিশালী রাডার সিগনাল উৎপন্ন করতে সক্ষম যার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ২ দশমিক ৪ কিলোওয়াট পর্যন্ত হতে পারে। এটি বিদ্যমান রাডার সিস্টেমের চিপেরে চেয়ে অন্তত এক থেকে দ্বিগুণ বেশি শক্তিশালী। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই চিপ এমন শক্তিশালী রাডার তৈরি করতে সক্ষম হবে যা সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এক্স-ব্যান্ড (সাধারণত যে তরঙ্গ সামরিক ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র, বিভিন্ন সামরিক যান এবং হুমকি খুঁজে বের করতে ব্যবহৃত হয়) তরঙ্গ খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে। এই চিপ ব্যবহার করলে এমন তরঙ্গ উৎপাদনের খরচও পড়বে কম। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

লিবিয়ায় সেই রাতে ‘মৃত্যুর চেয়ে ভয়াবহ’ পরিস্থিতি হয়েছিল

কুকুরের একটানা ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনে আন্দাজ করেছিলেন কোনো একটা ঝামেলা হয়েছে। তখন ছিল রাত প্রায় আড়াইটা। বাইরে অন্ধকার। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডেরনার ৩১ বছর বয়সি হিসাবরক্ষক হুসাম আব্দেল গাউই কুকুরের ডাকে জেগে ওঠেন ও ঘুমচোখেই নিচে নেমে দেখেন তার পায়ের নিচে পানি।একই ঘরের এক অংশে হুসাম এবং অন্য অংশে তার ছোট ভাই ইব্রাহিম থাকেন। তিনি সামনের ঘরের দরজা খোলা মাত্রই হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ে বন্যার পানি।দুই ভাই দৌড়ে ঘরের পেছনের দিকে যান। সেখানে গিয়ে তারা অবিশ্বাস্য পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, যা তাদের কাছে ছিল ‘মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ’। আল কুব্বাহ শহর থেকে ফোনে এভাবেই পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বাইডেনের সাথে সেলফি ও মাখোঁ’র ঢাকা সফর – নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা চাপ কমবে?

ভারতে জি২০ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা নতুন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনার দু’দিন পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ঢাকা সফর করলেন।সেলফিতে শেখ হাসিনার সাথে জো বাইডেনের হাস্যোজ্জ্বল ছবিকে ‘সম্পর্ক উন্নয়নের’ বার্তা হিসেবে দেখেন কেউ কেউ। একটি সম্মেলনে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাত ও ছবি তোলা আদৌ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত বহন করে কী-না সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।নির্বাচনের আগে ভারতে আলোচিত হাসিনা-বাইডেন সেলফি আর এক সপ্তাহের মধ্যেই দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও ফ্রান্সের উচ্চ পর্যায়ের সফর দু’টিকেও বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রশ্নে এ বিষয়গুলিকে গুরুত্বের সাথে সামনে আনছে ক্ষমতাসীন দল।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ মনে করছেন, এগুলো বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের ইতিবাচক অবস্থান হিসেবেই দেখছেন।“সব মিলিয়ে একটা ইতিবাচক ধারণা বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা হচ্ছে আমাদের সফলতার জায়গা,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. হানিফ। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

নাইজারে জিম্মি ফরাসি রাষ্ট্রদূত: ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

আফ্রিকার দেশ নাইজারে থাকা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের কোট ডি’অর অঞ্চলে একটি সফরের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারে ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য ফরাসি কূটনীতিকদের ‘ফরাসি দূতাবাসে আক্ষরিক অর্থে জিম্মি করা হয়েছে’। রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তারা এখন সামরিক রেশন খাচ্ছেন।এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করবেন কি না জানতে চাইলে ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে আমরা যা কিছু করতে রাজি। তিনি বৈধ কর্তৃপক্ষ এবং আমি প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা বলি।এ বিষয়ে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার ভাষ্য, ইত্তে এখনও কাজ করছেন। সূত্র: বাংলানিউজ