দেশের বিচার বিভাগ প্রজাতন্ত্রের হৃৎপিণ্ড, বিদায় সংবর্ধনা প্রধান বিচারপতি
দেশের বিচারাঙ্গনের শীর্ষ পদে এক বছর আট মাস দায়িত্ব পালন শেষে বিদায়ের দিন ঘনিয়ে এল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) তাঁর শেষ কর্ম দিবসে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ প্রজাতন্ত্রের হৃৎপিণ্ড। এ সময় এই বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে ব্যর্থ হলে জাতিকে খারাপ সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সকালে আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাস কক্ষে তাঁর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, মানুষ প্রজাতন্ত্রে আস্থা হারাতে পারে। কিন্তু বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারালে জাতিকে খারাপ সময়ের জন্য, খারাপ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।


এদিকে ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্ট অবকাশে থাকবে বলে বৃহস্পতিবারই তার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।
রেওয়াজ অনুসারে এদিন তাকে আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে দেশের ত্রয়োবিশংতম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
চারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পড়ালেখা শেষে তিনি ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ও ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা সিটি করপোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আইন উপদেষ্টা ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলও।
২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের ও ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ ছাড়া তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।