পাটকল শ্রমিককে ধর্ষণ ও হত্যায় ৫ জনের ফাঁসি

ফরিদপুর সংবাদদাতা:ফরিদপুর সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরের মধুখালীতে পাটকলের নারী শ্রমিক কাজল রেখা কাজলীকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৫ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

আজ সোমবার বিকেলে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সকল আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চুন্নু সিকদার, নাজমুল হোসেন তেবেজ, ইসলাম মীর, আতিয়ার মোল্যা ও নাছির খান নয়ন। তাদের বাড়ি মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কাজল রেখা কাজলী মধুখালী উপজেলার রাজধরপুর প্রাইড জুট মিলের শ্রমিক ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর ওভারটাইম ডিউটি করতে সাড়ে ১১টার দিকে বের হন। পথে নছিমন চালক চুন্নু সিকদার একটি কলাবাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় অপর চার আসামি তেবেজ, ইসলাম মীর, আতিয়ার ও নাছিরও তাকে ধর্ষণ করে। পরে কাজল রেখাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে কলা বাগানে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ ঘটনায় কাজল রেখার মা কল্যানী বিশ্বাস ১৬ অক্টোবর মুধখালী থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। কাজল রেখার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে। কাজের সুবাদে তিনি মধুখালী থানার রাজধরপুর গ্রামের লাকী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুখালী থানার এসআই সাহেব আলী ও সাইফুল আলম ৩১ ডিসেম্বর এই পাঁচ আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

Nagad

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার পাল বলেন, আসামিরা প্রত্যেকে নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।