আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২৩

শেয়ারবাজারে বিমার দাপট সপ্তাহজুড়ে, কারসাজির সন্দেহ

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহ ছিল যেন বিমাময়। সপ্তাহজুড়েই লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই ছিল বিমা খাতের। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বিমা খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। তাই এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে গত সপ্তাহের শেষে মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৬টিই ছিল বিমা খাতের। কোম্পানিগুলো হলো জনতা ইনস্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স ও গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স। এর মধ্যে জনতা ইনস্যুরেন্স ও ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স সম্প্রতি তাদের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসের তথ্য প্রকাশ করেছে। সূত্র: প্রথম আলো

জানালা ভেঙে উদ্ধার, তবু বাঁচানো গেল না ১৭ জনকে

ঝালকাঠিতে দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুর পড়ে ১৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আট নারী ও তিন শিশু রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ছত্রকান্দা এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল রহমান বাবু বলেন, ‘সকালে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাঁড়ানো ছিলাম।
হঠাৎ দেখি বাশার স্মৃতি পরিবহন নামে যাত্রীবাহী একটি বাস ইজি বাইককে জায়গা (সাইড) দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। আমরা কয়েকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করি। আমরা কমপক্ষে পাঁচ-সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছি। এ ছাড়া জীবিত ১৫-২০ জনকে উদ্ধার করি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশে আড়াই লাখ বিদেশি
কাজ করছেন বৈধ অবৈধভাবে

র্তমানে আড়াই লাখ বিদেশি বৈধ-অবৈধভাবে কাজ করছেন বাংলাদেশে। তাদের মধ্যে বৈধভাবে কাজে নিযুক্ত বিদেশিরা ২০২২ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যদিও বিশ্লেষকরা মনে করেন, ডলারের পরিমাণ আরও বেশি হবে। কারণ অন্যান্য দেশের অনেক লোক বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই দেশে কাজ করছেন। ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নতুন তথ্য অনুসারে, এক বছর আগের তুলনায় রেমিট্যান্সের বহিঃপ্রবাহ ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা ১০ কোটি ডলার নিজ দেশে পাঠিয়েছিলেন। ২০২২ সালে এসে বিদেশিদের নিজ দেশে পাঠানো ডলারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখে। বিশ্বব্যাংক শুধু বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো রেমিট্যান্সের হিসাব করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ থেকে বিদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে বিদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৯ সালে ছিল ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর ২০১৮ সালে ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

Nagad

খরার কবলে দেশ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বদলে যাচ্ছে ঋতুচক্রের স্বাভাবিক নিয়ম, পরিবেশে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, লবণাক্ততাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের এ মিছিলে কয়েক বছর ধরে নতুন করে যোগ দিয়েছে খরা। ভরা বর্ষায় নেই বর্ষণ, মাঠ ফেটে চৌচির। এর বড় প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে বছরে খরায় ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৩৫ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমি। টাকার অঙ্কে তা ২ হাজার ৭৩৪ কোটি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অত্যধিক তাপমাত্রা, জলাধার শুকিয়ে যাওয়া, বন উজাড় এবং অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগামী দিনগুলোতে আরও বড় খরা অপেক্ষা করছে বলেও সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় খরার প্রভাব আগামী ৫০ বছরের মধ্যে দক্ষিণ ও মধ্য-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা তাদের। ভরা বর্ষায়ও নেই বৃষ্টি-পঞ্জিকার পাতায় এখন ভরা বর্ষা। আষাঢ় শেষে শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহও পার। তবে আকাশে নেই মেঘ, ঝরছে না বারিধারা। ঋতুচক্রের নিয়ম ভেঙে সেই আকাশ এখন শরতের মতো শুভ্র। সূর্য ঢেলে দিচ্ছে তাপদাহ। গতকাল শনিবারও রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। সূত্র: সমকাল

আওয়ামী লীগের জরিপের কাজ শেষ পর্যায়ে
বর্তমান এমপি বাদের তালিকা হবে দীর্ঘ
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই বদলে যাবে চিত্র * অনেকেই বিতর্কিত কিংবা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন * চলছে ৩০০ আসনেই বাছাইয়ের কাজ

বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের বাদের তালিকা দীর্ঘ হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে শাসক দলের জরিপের যে কাজ চলছে, সেখানে বিচিত্র ও ভয়াবহ সব তথ্য উঠে এসেছে।এই কাজ করতে গি জরিপকারীরা ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান এমপিদের অনেকের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছেন। জেনেছেন আওয়ামী লীগের এমপি হয়েও কীভাবে তারা নিজস্ব বলয় তৈরি করে দূরে সরিয়ে রেখেছেন দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের।নাম প্রকাশ না করে জরিপ কার্যক্রমে যুক্ত একাধিক তথ্য সংগ্রহকারী যুগান্তরকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের মধ্যে অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে বিতর্কিত কিংবা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।অবস্থাটা এখন এমন দাঁড়িয়েছে-এলাকায় নিজ দলের নেতাকর্মীরাই নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে এসব এমপি ভরাডুবির শিকার হবেন। তাই এবার তাদের ওপর কোনোভাবেই ভরসা করছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা।আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পুরোনো নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত বলয় তৈরির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যাচ্ছেন-দেশজুড়েই এমন অভিযোগ পেয়েছেন জরিপ কাজে অংশ নেওয়া টিমগুলোর সদস্যরা। সূত্র; যুগান্তর

সুদহারে ২ শতাংশের বেশি ঋণাত্মক স্প্রেডে চলছে চার ব্যাংক!

সুদ খাত যেকোনো ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস। বিতরণকৃত ঋণ থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়ে আমানতকারীদের সুদ পরিশোধ করে ব্যাংক। এ ‘ব্যাকরণ’ মেনেই পরিচালিত হয় ব্যাংকিং কার্যক্রম। যদিও দেশের সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশী খাতের ছয় ব্যাংকের আমানতের গড় সুদহার এখন ঋণের গড় সুদহারের চেয়ে বেশি। ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের গড় সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) এখন নেমে এসেছে ঋণাত্মক ধারায়। এর মধ্যে চারটিরই স্প্রেড এখন ঋণাত্মক ২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এ চার ব্যাংক হলো পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, বেসিক ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের স্প্রেডও ঋণাত্মক পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে বিডিবিএলের স্প্রেড এখনো ঋণাত্মক দেড় শতাংশে ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের স্প্রেড ঋণাত্মক ১ শতাংশে নামেনি।
অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের বড় অংশই এখন খেলাপির খাতায়। ফলে ঋণ থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়ে আমানতকারীদের সুদ পরিশোধ সম্ভব হচ্ছে না। মূলধন খুইয়ে কিংবা অন্য খাতের আয় দিয়ে কোনো রকমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বিতরণকৃত ঋণ থেকে মুনাফার পথই যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কোনো ব্যাংকের পক্ষে আর টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র; বনিক বার্তা।

চালক ফোনে ১৭ প্রাণ পানিতে

ঝালকাঠিতে একটি যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩৫ জন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মঠবাড়িয়া-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকার বৈদারাপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ শিশু, ৮ নারী ও ৬ পুরুষ। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির এক যাত্রীর বরাতে এলাকাবাসী জানায়, দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তে চালক এক হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে কথা বলছিলেন এবং অন্য হাতে বাসটি চালাচ্ছিলেন। এ সময় একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি।দিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন।লকাঠির দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া যায়। তারা হলো ভা-ারিয়া পৌর এলাকার পান্না মিয়ার ছেলে তারেক রহমান (৪৫), মুজাফফর আলীর ছেলে সালাম মোল্লা (৬০), মৃত সালাম মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা (২৫), রাজাপুর থানার নিজামিয়া গ্রামের মৃত মাওলানা নজরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৩), নজরুল ইসলামের মেয়ে খুশবো আক্তার (১৭), ভা-ারিয়ার পশারিবুনিয়া গ্রামের জালাল হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া (৬), বাকেরগঞ্জের চর বোয়ালিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (৮), ভা-ারিয়ার রিজার্ভ পুকুরপাড় গ্রামের মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০), আবুল কালাম হাওলাদার, মেহেদীগঞ্জ সদরের রিপনের মেয়ে রিপামণি (২), মেহেদীগঞ্জের রিপন হাওলাদারের স্ত্রী আইরিন আক্তার (২২), রাজাপুরের বলাইবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন (১৬), ভান্ডারিয়ার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত ফজলুল হক মৃধার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৮০) এবং বাঁশবুনিয়ার কাঁঠালিয়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের মেয়ে সালমা আক্তার মিতা (৪২)। নিহত বাকি তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।এলাকাবাসী জানায়, বাশার স্মৃতি পরিবহন নামের বাসটি ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টার দিকে ভা-ারিয়া থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে আসছিল। পথে ছত্রকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এলে একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি উল্টে রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে ডুবে যায়।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি
শুল্কে ছাড় ৫৬ হাজার কোটি, সুফল পায়নি মানুষ

টাকার অভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। সব ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রসাধনের চেষ্টা চলছে। রাজস্ব ঘাটতির কারণে নতুন টাকা ছাপিয়ে আর ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তহবিল সংকটে সরকার যখন হিসেবি, তখনই রাজস্ব বা শুল্কছাড়ের বেহিসেবি তথ্য সামনে এল।অর্থসংকট কাটাতে যখন বড় রাজস্ব আয় করার কথা, সেখানে উল্টো ১১ মাসেই অবাধ ছাড় দিয়ে ৫৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে। এ সুযোগ নিয়েছে ভোজ্যতেল আমদানিকারক, মোবাইল ফোনসেট উৎপাদক ও পোলট্রিশিল্প এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রতিবেদন থেকে বিপুল পরিমাণ শুল্কছাড়ের তথ্য জানা গেছে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়। এতে রাজস্ব ক্ষতি হয় ৩ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৬১৮ কোটি টাকা। শুল্কছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তি ছিল, এতে ভোক্তারা কম দামে ভোজ্যতেল কিনতে পারবেন। অথচ ভোজ্যতেলের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। একইভাবে দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন খাতে ২ হাজার ১৫৩ কোটি টাকার শুল্কছাড় দেওয়া হয়। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

বাংলাদেশে রপ্তানির বড় উৎস হতে পারে ‘সফটশেল’ কাঁকড়া

বাংলাদেশ থেকে এই মূহুর্তে বিদেশে রপ্তানি করা মংস্য সম্পদের মধ্যে চিংড়ির পরই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় পণ্য হচ্ছে কাঁকড়া। এর মধ্যে কাঁকড়ার শক্ত খোলসের মধ্যে নরম খোসার কাঁকড়া, যাকে সফটশেল কাঁকড়া বলে তার চাহিদা বিদেশে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।বাংলাদেশে যেসব জেলায় সফটশেল কাঁকড়া উৎপাদিত হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলার মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, জুন-অগাস্ট মাসে বিশেষ করে সফটশেল কাঁকড়ার চাহিদা বিদেশে বেশি থাকে।“সফটশেল কাঁকড়া যেটা এটারই বেশি চাহিদা এখন। বছরে এটাই প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টনের মতো উৎপাদিত হয়,” বলেছেন মি. রহমান।“এমনকি কাঁকড়া যেটা হার্ড থাকে সেটা খাওয়াটা বেশ কষ্টকর। আর এটার যেহেতু শেল থাকে না, সফট হয়ে যায় পুরো বডিটা, তাই যেকোন বয়সের মানুষ এটা খেতে পারে,” বলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

সাগরের গর্জন আর ট্রেনের ঝিকঝিক মিলবে যেখানে

মাস দুয়েকের মধ্যে পর্যটন নগর কক্সবাজারের পথে ট্রেনের ‘ট্রায়াল’ শুরু হতে যাচ্ছে, আর বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে এ বছরের মধ্যেই। এর মধ্যেই সমুদ্রসৈকত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নির্মাণাধীন ‘ঝিনুকাকৃতির’ রেলস্টেশনও চালু হবে। সেখানে সমুদ্রের গর্জন আর রেলের ঝিকঝিক শব্দের ঐকতান একসঙ্গে শুনতে পারবেন পর্যটকরা।স্টেশনটিকে ‘আইকনিক’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেলপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এই স্টেশন। পুরো স্টেশনটি গড়ে উঠছে ২৯ একর জমির ওপর। স্টেশন ভবনটির আয়তন হবে ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুট।স্টেশনটি পড়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংঝা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ায়। সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছয়তলা স্টেশন ভবনের চারতলা পর্যন্ত মূল কাঠামোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। স্টেশন ভবন ছাড়াও আরও ১৭টি স্থাপনা তৈরি করার কাজও শেষ, যেগুলো ব্যবহার করা হবে রেলওয়ের পরিচালনা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে। সূত্র: বিডি নিউজ