মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ছোটো মেয়েকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন
মামলাবাজ মর্জিনা বেগম কর্তৃক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সন্ত্রাসী জুবায়ের অপহৃত ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে ফিরে পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন।নিজের পালিত গরু বিক্রি করার পর পুলিশের সহায়তায় গরু চুরির মামলায় তাকে জেল খাটানো হয়।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বালিয়াকান্দি তালপট্টি সুপার মার্কেটের কক্ষে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পালিত বোন মর্জিনা বেগম ও তার ছেলে সন্ত্রাসী জুবায়ের কু-নজর পড়ে আমার পরিবারের উপর। প্রতারণা করে আমার বড় বোনের থেকে আমাদের বসত ভিটার কিছু অংশ লিখে নেয়।পরে আমার দীর্ঘদিন পালিত গরু বিক্রি করে বড় বোনের থেকে বসত ভিটার বাকি অংশ নেওয়ার জন্য গরু বিক্রি করি।তবে মর্জিনা পুলিশের মাধ্যমে আমাকে গরু চুরির অপবাদে জেলে খাটায় ১৩ দিন।আমার প্রতিবেশীদের গন স্বাক্ষর আদালতে উকিলের মাধ্যমে দিলে জামিন পায়।তবে আদালতে পুলিশে দেওয়া মিথ্যা প্রতিবেদনের কারণে আমার বিক্রি করা গরু মর্জিনার হেফাজতে রাখা হয়। একই সাথে আমার বড় ভাইয়ের নামে মিথ্যা ইজিবাইক চুরির মামলা দেয় মর্জিনা।আমি জেলে যাওয়ার পর যাতে আমার জামিনের জন্য কেউ আদালতে ঘুরতে না পারে তার জন্য ভাইকে ঢাকা যাওয়ার পথে রাজবাড়ী আলাদিপুর থেকে মারপিট করে তার ছেলে ও ভাড়াটিয়া গুন্ডারা।
আমি জামিনে বাড়ি আসার পর আমার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে রাতে অপহরণ করে নিয়ে যায় মর্জিনা বেগমের ছেলে জুবায়ের। আমি বার বার থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলেও নেওয়া হয় নাই।পরে বাধ্য হয়ে আদালতে যায়।তবে এখনো আমার নাবালিকা মেয়েকে ফিরে পায়নি।
প্রতিনিয়ত মর্জিনা বেগম ও তার ছেলে আমার ও আমার ভাইয়ের পরিবার কে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এখন বড় ভাইয়ের মেয়ে কে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত মর্জিনা বেগম ইউরোপ প্রবাসী বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর বকশিয়াবাড়ী এলাকার মো: বাবুল মিয়ার স্ত্রী। জুবায়ের মিয়া মর্জিনা বেগম ছেলে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীর হোসেনের বড় ভাই সৈয়দ আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী, প্রতিবেশী ভরত মন্ডল, জহির মিয়া প্রমুখ।