আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
গুলশানে জমি কেনায় সর্বনিম্ন কর কাঠায় ২০ লাখ টাকা, অন্য এলাকায় কত
গুলশান-বনানী হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাজধানীর এই অভিজাত এলাকায় শীর্ষ ধনীরাই বাস করেন, সেখানে রয়েছে বিভিন্ন করপোরেট অফিস। ওই এলাকায় ফ্ল্যাট-প্লটের দাম আকাশচুম্বী। ব্যবসায়ী, আমলা, কূটনীতিক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এই এলাকায় গুলশান-বনানীর কোনো কোনো সড়কে এক কাঠা জমি কিনতে এখন সরকারকে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা কর দিতে হবে। এর নিচে কর হবে না, অর্থাৎ এটাই সর্বনিম্ন হার।নিয়মটি করা হয়েছে এভাবে—গুলশান ও বনানীর কিছু এলাকায় প্রতি কাঠায় ২০ লাখ টাকা কিংবা দলিল মূল্যের ৮ শতাংশের মধ্যে যে পরিমাণটি বেশি, তা কর হিসেবে দিতে হবে। এই হার সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। গুলশানে কেউ যদি ৫ কাঠার একটি বাণিজ্যিক প্লট কেনেন, তাহলে তাঁকে কমপক্ষে এক কোটি টাকা কর দিতে হবে। আর ওই এলাকায় ৫ কাঠার আবাসিক প্লট কিনলে অর্ধকোটি টাকা কর দিতে হবে। এটিও যেকোনো আবাসিক এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ কর।ষাটের দশকে গুলশান ও বনানী আবাসিক এলাকার গোড়াপত্তন শুরু হয়। সরকারি সংস্থা ডিআইটি (পরে রাজউক) জমি অধিগ্রহণ করে প্লট করে। স্বাধীনতার পরপর এ দেশের ধনীদের মধ্যে অনেকে গুলশান ও বনানীতে বসবাসের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেন। এভাবেই গুলশান ও বনানী হয়ে ওঠে এ দেশের ধনিক শ্রেণির পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। সূত্র: প্রথম আলো


২৩ বছরের মধ্যে মৃত্যু ও আক্রান্ত সর্বোচ্চ
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল সোমবার এক দিনে ডেঙ্গুতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এক দিনে এটাই সর্বাধিক মৃত্যু। এ নিয়ে এ বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৪। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৫৮৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৩ বছরের প্রথম সাত মাসে এ বছরই সর্বাধিকসংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ বছর প্রথম সাত মাসে এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৪৬৭ জন রোগী। দেশের এমন পর্যায়কে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি’ পরিস্থিতি বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: কালের কন্ঠ
এক দিনে রেকর্ড ৮ মৃত্যু, ভর্তি দেড় হাজার
স্বাস্থ্য বাতায়নে ডেঙ্গু নিয়ে ফোন ৪৩%
সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছেই। এই ভাইরাসে গত এক দিনে এ বছরের মধ্যে রেকর্ড আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ৬ মাস ১৭ দিনে ডেঙ্গুতে মোট ১১৪ জনের প্রাণ গেল। এ ছাড়া এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৯ জন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৭ জন। বাকি ৭৪২ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৪৬৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৪ হাজার ৬৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭ হাজার ৭৭০ জন। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ও যতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এর আগে কোনো বছরের প্রথম ছয় মাসে হয়নি। জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর হার গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য বাতায়নের ৪৩ শতাংশ কল ডেঙ্গুবিষয়কহাসপাতালে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে। পাশাপাশি অনেকে বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার কল সেন্টার স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩-এ গত আড়াই মাসে ২ লাখ ৮০৮ জন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশ ফোন কল ছিল ডেঙ্গুবিষয়ক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র: সমকাল
ছয় সংকটে নাকাল ঢাকা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, মশার বিস্তার, জলাবদ্ধতা, দূষণ, গ্যাস-পানি সংকট ও অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি
ঘর থেকে বের হলে গণপরিবহনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। একদিকে সংকট অন্যদিকে কে কার আগে যাবে গণপরিবহনের এমন প্রতিযোগিতা প্রতিদিনই অহরহ চোখে পড়ছে। একই সঙ্গে রাস্তায় বের হলে বায়ু আর শব্দদূষণে বিপর্যস্ত হতে হয়। আর ঘরে ফিরলে পানি বা গ্যাস সংকটে নাকাল হতে হয়। শুধু তাই নয়, অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি ও জলাবদ্ধতায় নাকাল রাজধানীবাসী। এ ছাড়া বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত এডিস বাহিত ডেঙ্গু মশা। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। এই নিয়ে সরকার ও সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগ নিলেও কোনো সুফল মিলছে না। এই ছয় সংকটে নাকাল ঢাকার বাসিন্দারা। যদিও সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে এসব সমস্যা নিরসনে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তার সুফল মিলছে না; বরং দিনকে দিন নতুন নতুন জটিলতায় নগরজীবনের সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বিশৃঙ্খল রাজধানীর গণপরিবহন : ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে তারা এখন পর্যন্ত ২৭টি সভা করেছে। কিন্তু রুট মেনে বাস পরিচালনা ও কোম্পানি গঠনের কোনো কাজ সামান্যই এগিয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।
টেস্ট পরীক্ষায় কি পাস করল নির্বাচন কমিশন
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে সোমবার (১৭ জুলাই)। বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ। তার মানে মোট ভোটারের ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েনি বা ভোটারেরা ভোট দিতে আসেননি। এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে শতভাগ স্বচ্ছ ব্যালটে। এটাই হাবিবুল আউয়াল কমিশনের প্রথম শতভাগ স্বচ্ছ ব্যালটে ভোটগ্রহণ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বচ্ছ ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হবে। তাই এই উপনির্বাচন নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় পরীক্ষা। এমনিতেই নির্বাচন নিয়ে এখন রাজনীতির মাঠ অনেকটা উত্তপ্ত। সরকার বলছে, তাদের অধীনে এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই অবাধ, গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। অন্য দিকে বিরোধী দল বলছে, এই সরকারের অধীনে এই কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এত সবের মধ্যে প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ সিটি করপোরেশন ও উপনির্বাচনগুলো। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
৮০২ কোটির নিষ্ফল গবেষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের গবেষক দল বাংলাদেশে ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন করেন। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর এ উদ্ভাবনের জন্য পেটেন্ট, ডিজাইনস ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে অধিদপ্তরে যথাক্রমে ১৯টি ও আটটি পেটেন্ট গৃহীত হয়। কিন্তু গবাদি পশুর টিকা-সংক্রান্ত উদ্ভাবনটি ওই দুই বছরে পেটেন্টের জন্য নিবন্ধিত হয়নি। প্রকল্পের এসপিএম-সূত্র বলেছে, পেটেন্ট-আবেদনটি হিমঘরে চলে গেছে। শুধু ঢাবি নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে বেশ কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ক্ষেত্রে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাতটি গবেষণা পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছিল। একটি আবেদনও গ্রহণ করেনি পেটেন্ট অধিদপ্তর। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অবহেলা ও অধিদপ্তর-কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে গবেষণা প্রকল্পগুলো সাফল্য পায়নি। পেটেন্ট অধিদপ্তরের অবহেলায় গবেষণা কার্যক্রম আলোর মুখ দেখে না। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারলে গবেষণাগুলো বিশ্বমানের হতো বলে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের বিশ্বাস। প্রকল্পটিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য ‘প্রোমোটিং অ্যাকাডেমিক ইনোভেশন’ নামের উপ-প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৮০২ কোটি টাকা। কিন্তু অনেক শিক্ষক গবেষণা করেননি, আবার যারা করেছেন তারাও পেটেন্ট অনুমোদন পাননি। সব মিলিয়ে ৮০২ কোটি টাকার ফল শূন্য।হজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে একটি দল ক্যানসার শনাক্তের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এটি কার্যকর করা হলে মাত্র ৫০০ টাকায় দেশেই ক্যানসার শনাক্ত করা যেত। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ২৭টি গৃহীত আবেদনের মধ্যে এটি নেই। অর্থাৎ এর পেটেন্ট-আবেদনটিও গৃহীত হয়নি।
গরুর ক্ষুরা রোগের টিকা উদ্ভাবনকারী বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এখন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি)। তার পেটেন্ট-আবেদন হিমঘরে কেন জানতে চাইলে দেশ রূপান্তরকে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক পেটেন্ট দেখার মানুষ নাকি তাদের আছে অথচ পেটেন্ট অফিসে বিরাট লাইন। বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখানে পেটেন্ট জমা দেয়। একটা পেটেন্ট অনুমোদন পেতে তিন-চার বছর লাগে। ক্ষুরা রোগের টিকার পেটেন্ট রিভিউতেই পাঠানো হয়নি। তাদের নাকি রিভিউ করার মানুষ নেই।’সূত্র: দেশ রুপান্তর
‘ইসির নিবন্ধন শর্ত শুধু কাগজে, বাস্তবে নেই’
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, “ইসির নিবন্ধন শর্ত শুধু কাগজে, বাস্তবে নেই”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে নিবন্ধন পেতে দলগুলোকে যেসব শর্ত মানতে হয় সেগুলো না মেনেও অনেকে নিবন্ধন পেয়েছেন এবং শর্ত মেনেও কোন কোন দল নিবন্ধিত হতে পারেনি। আইনানুযায়ী নিবন্ধিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় সক্রিয় অফিস থাকা বাধ্যতামূলক। সে হিসাবে অন্তত ২২ জেলায় দলীয় কার্যালয় থাকার নিয়ম। কিন্তু ইসির নিবন্ধিত ৪২টি দলের মধ্যে কেবল ৯টি রাজনৈতিক দলের আছে ন্যূনতম জেলা কার্যালয়। তবে জামায়াতের সারাদেশে ৪০টির মতো জেলা কার্যালয় থাকলেও নিবন্ধন হারানোর পর থেকে বেশির ভাগ কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। তবে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি কাছাকাছি নাম দিয়ে ইসি থেকে পাঁচটি নিবন্ধন পেলেও জেলা কার্যালয় খোঁজার সময় তাদের ভিন্ন কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
ডেঙ্গু: আক্রান্ত বেশি পুরুষ, মৃত্যু বেশি নারীর
এবছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে বেশি হলেও মারা গেছেন বেশি নারীরা। আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুটোই বেশি হচ্ছে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা। বছরের শুরু থেকে সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে এইডিসবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২২ হাজার ৪৬৭ জনকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এই রোগীদের মধ্যে মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ১৬৪ জন। আর নারী ৮ হাজার ৩০৩ জন। মোট ভর্তি রোগীর শতকরা ৬৩ দশমিক ০৪ শতাংশ পুরুষ।এই রোগীদের মধ্যে ঢাকায় যে ১৪ হাজার ৬৯৭ জন, তার মধ্যেও নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। পুরুষ ৮ হাজার ৭৮৭ জন এবং নারী ৫ হাজার ৯১০ জন।স্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে আরও দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বয়সই ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। সূত্র: বিডি নিউজ
হিরো আলম ইস্যুতে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়। সোমবার (১৭ জুলাই) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, আমি বলবো যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং সহিংসতার জন্য অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি। আমরা আশা করবো, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে এবং আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো।নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে জ্যাকসন হাইটসে হেনস্তা করার ঘটনায় অভিযুক্তের গ্রামের বাড়িতে হামলা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে মিলার এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে বলেন, আমি আবারও শুধু বলবো যে ধরনের সহিংসতা আপনি উল্লেখ করেছেন গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো স্থান নেই। সূত্র: বাংলানিউজ
বিএসএমএমইউ
২৯ খাতে অনিয়ম, লোপাট আড়াইশো কোটি টাকা!
দেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির ২৯টি খাতে প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা লোপাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন খাতের অনিয়মের মধ্যে রয়েছে- বিল-ভাউচার ছাড়া ব্যয়, যন্ত্রপাতি না কিনলেও ঠিকাদারকে অর্থ পরিশোধ, পিপিআর বিধিমালা লঙ্ঘন করে অনিয়মিত ব্যয়, নির্মাণ ও মেরামতে অনিয়মিত ব্যয় ইত্যাদি।বিএসএমএমইউর এ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক চলতি বছরের জুনে সংস্থার সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে দুদক বিএসএমএমইউকে চিঠি দিয়েছে গত ২৬ জুন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর জবাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা যায়। সূত্র: জাগো নিউজ