ঢাকা-১৭ আসন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা, নেই অভিযোগ: পর্যবেক্ষক দল
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন। ১২৪টি কেন্দ্রের ৬০৫টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
আজ সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণ চলে। ইতোমধ্যে ভোট গণনাও শুরু হয়েছে।


এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। কোনো অনিয়ম নজরে আসেনি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, স্বল্প সময়ের মেয়াদ আছে সংসদের, এ জন্য ভোটারদের আগ্রহ কম হতে পারে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছে সার্ক হিউম্যান মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবিদ আলী। তিনি বলেন, ‘আশানুরূপ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করিনি। যেটা আশা করেছিলাম সেই অনুপাতে হয়নি। তবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়নি। কোথাও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
এদিকে চলতি বছরের ১৪ মে জনপ্রিয় অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক এমপির মৃত্যুতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে আসনটি শূন্য হয়। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আট প্রার্থী। যদিও স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সকালেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
অন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।
১ জুন নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়।