টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে ঘরে ফেরা মানুষ
ঈদ যাত্রায় বিগত দিনের চাইতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ঘরে ফিরে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার দুর্ভোগে পড়ে গ্রাহকরা। নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষরা টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা কেমন পেল এ নিয়ে একটি মতামত জরিপ করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
বুধবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন।


বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,”টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের বেহাল দশা , দুর্ভোগে স্বপ্ন নিয়ে ঘরে ফেলা মানুষ। দেশের চারটি অপারেটরের সেবার মান এলাকা ভেদে ভিন্ন। কোন কোন জেলায় হয়তো জিপির সবার মান খুব ভালো আবার কোন কোন এলাকায় রবির সেবার মান ভালো আবার কোন এলাকায় বাংলালিংক- এর সেবার মান ভালো। টেলিটকের বেহাল দশা সারা বাংলাদেশে। কিন্তু সার্বিকভাবে যদি সেবার মান নির্ধারণ করা যায় তাহলে দেশের ৭৫ ভাগ এলাকাতেই সেবার মান সর্বনিম্ন।
তিনি বলেন, টেলিভিশনে মোবাইল অপারেটর বিজ্ঞাপন প্রচার করে “স্বপ্ন যাবে এবার বাড়ি”কিন্তু একজন নাগরিক সত্যিই অনেক স্বপ্ন নিয়েই বাড়ি ফিরে, সে বাড়িতে থেকে তার বাড়ির সার্বিক পরিস্থিতি আত্মীয়-স্বজন প্রয়োজনের সাথে শেয়ার করবে, ভিডিও কলে যোগাযোগ করবে কিংবা ঘরে বসে জরুরি ব্যবসা-বাণিজ্য অফিসের কাজ সেরে নেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলির গ্রাহকের মন্তব্যে সেবার মান সম্পর্কে মতামত গুলি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, কেউ লিখছেন,”নেটওয়ার্ক পেতে কি এবার গাছে উঠতে হবে”কেউ লিখছেন বাড়িতে নেটওয়ার্ক পাই না তাই বৃষ্টির মধ্যেও সড়কে এসে পোস্ট করছি। কেউবা লিখছেন, বাজারে আসা ছাড়া নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। আবার অনেকেই মন্তব্য করেছেন, তার ইন্টারনেটের ব্যালেন্স পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার না করার কারণে ইতিমধ্যে তার মেয়াদ শেষ।
এভাবে শত শত গ্রাহক তার তিক্ত অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে কটু মন্তব্য পর্যন্ত করেছেন। এমনকি কেউ কেউ বিটিআরসি কে সারাদেশে নেটওয়ার্কের মান যাচাই করতে ড্রাইভ টেস্টের অনুরোধ করেছেন সংগঠনটি।
মহিউদ্দিন আরও বলেন, আমরা ঈদের দুই দিন আগে ও দুইদিন পরে দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারি ঈদ যাত্রায় সবচাইতে দুর্ভোগে ছিল টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারীরা। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের বেহাল দশা।
তিনি আরো বলেন, গত বছর ২০২২ এর ৩১ শে মার্চ তরঙ্গ নিলাম হবার পর আমরা ভেবেছিলাম ডেলি যোগাযোগ যোগ ও ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়ন হবে, কিন্তু না হয়েছে উল্টো। আর এর দায়ভার এমএনও অপারেটর, এনটিটিএন, টাওয়ার কোম্পানি, ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিটিআরসি এড়াতে পারে না।
সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রান্তিক পর্যায়ে যেখানে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে কাজ করছে সেখানে বর্তমান সময়ে মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার দুর্ভোগ কোন ভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সংগঠনটি।