বানারীপাড়ায় স্কুল ছাত্রী গণ-ধর্ষণ, সহযোগী ইয়াছিন-ও গ্রেপ্তার

বরিশালের বানারীপাড়ায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষনের ঘটনায় সহযোগী ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব ৭ এর একটি টিম।

উপজেলার সলিয়াবাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে গণ-ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের ১০ দিন পরে বুধবার (২১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা ইনচার্জ এস এম মাসুদ আলম চৌধুরীর দক্ষ পরিকল্পনায়, থানা পুলিশের চৌকস উপ-পরিদর্শক মো: সজল খান, জাকির হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও র‍্যাব ৭’র যৌথ অভিযানে চট্রগ্রামের আনোয়ারা থানা এলাকা থেকে পলাতক ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করে রাত ১২ তার পর বানারীপাড়া থানায় নিয়ে আসা হয়।

ন্যাক্কারজনকে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে ইয়াছিন এলাকা থেকে পালিয়ে চট্রগ্রাম গিয়ে আত্মগোপন করে। ইয়াসিনকে বাঁচাতে এলাকার একটি পক্ষ অনেক দৌড় ঝাপ করে। এলাকার একটি মাদক চক্র ও এর নেপথ্যের অনেক ঘটনাকে আড়াল করতে ইয়াসিনকে ধর্ষণের মামলার আসামী হওয়া থেকে ফিরাতে অনেক তদবির করে। কিন্তু বানারীপাড়া থানা পুলিশের দক্ষ ও যৌগ্য বিচার বিশ্লেষণে তাদের আশায় বালি পড়ে। ইয়াসিনকে বাঁটাতে ঘরটিকে পরিত্যক্ত সাজাতে ও ঐ এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারী উঠে পড়ে লেগেছিল।

ধর্ষণে সহায়তাকারী ইয়াছিনকে বানারীপাড়া থানা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালে জেলহাজতে পাঠানো হয়। যে ঘরে গণধর্ষণেন ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ইয়াছিন ওই ঘরে ৩/৪ বছর ধরে কেয়ারটেকার ছিলো। গত ১৯ জুন মামলার ১ নং আসামী সোহাগকে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর দুই আসামী মেহেদী (২৭) ও প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবি (৩৮) কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে বানারীপাড়া থানার ওসি এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন রবিবার রাতে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শাখারিয়া গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শহিদের স্ত্রী রুবিনা আকতার ছবি বাসায় একা থাকার অজুহাত দেখিয়ে নার্গিস বেগমের দশম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ওই মেয়েকে তার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য অনুরোধ করেন। মায়ের সম্মতিতে ছবির অনুরোধে তার ঘড়ে ঘুমাতে গেলে রাত ১২ টার দিকে রুবিনা আক্তার ছবি ওই ছাত্রীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের জলিল হাওলাদারের পুত্র সোহাগ (২৩) ও সায়েদ মোল্লার পুত্র মেহেদীর (২৭) ও ইয়াছিনের হাতে তুলে দেয়। এসময় সে ভয়ে ডাক চিৎকার দিতে গেলে তার ওড়না দিয়ে মুখ বেধে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জাকির হোসেন’র একটি বসত ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই দুই লম্পট তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও তাহা ভিডিও ধারণ করে।

এ ঘটনায় পরের দিন ১২ জুন সোমবার ভিকটিমের মা নার্গিস বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের সোহাগ (২৪), মেহেদী (২৭) ও প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবিকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরেই আসামীরা আত্মগোপন করে।

Nagad