রাত পোহালেই রাজশাহীতে ভোট, প্রচারণা শেষ

রাজশাহী সংবাদদাতা:রাজশাহী সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৩

রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন। বুধবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এদিনর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাসিক নির্বাচনে এই প্রথমবারের মতো ভোটগ্রহণের জন্য ব্যবহার করা হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। তাই সবাই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা।

এদিকে সোমবার (১৯জুন) মধ্যরাতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হয়। শেষদিনে প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহরে মিছিল করেছেন। বিশেষ করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা মিছিল করে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাসিক নির্বাচনে কমিশনের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী মেয়রপ্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)। যদিও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এরই মধ্যে নানান অভিযোগে নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ইভিএমের তালিকায় প্রতীকসহ ওই প্রার্থী নাম থাকবে।

এবার মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী ছাড়াও ১১২ জন কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ২৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে।

Nagad

এবার ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে তিনটি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৬২টি। ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টিকেই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রগুলো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার অধীনে থাকবে। ঢাকা থেকেই কমিশনের কর্মকর্তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার পাশাপাশি ১০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে থাকবেন মোট ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা। নির্বাচনের দিন ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তারাও ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে থাকবে আনসার ও পুলিশ। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে র‌্যাব ও বিজিবি।